স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ নভেম্বর : বহু স্বপ্ন নিয়ে অভিষেক দক্ষিণ জেলা থেকে আগরতলা পাড়ি দিয়েছিল ফিজিওথেরাপিস্ট হবে বলে। কিন্তু কলেজের এক শিক্ষকের ষড়যন্ত্রে ভেঙে গেল তরতাজা যুবকের স্বপ্ন। কান্নায় ভেঙে পড়ল ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা মা বাবা। এই ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে শান্তির বাজারে যুবক অভিষেক সেনের সাথে। অভিষেক সেন ত্রিপুরা ইনস্টিটিউট অফ প্যারামেডিকেল সায়েন্সের ফিজিওথেরাপিস্টের ছাত্র ছিল।
অভিষেক কলেজে ভর্তি হওয়ার পর পড়াশোনা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ২০২১ সালে কলেজেরই এক শিক্ষক সৌম্য ভট্টাচার্যী খালি কক্ষে নিয়ে গলায় চেপে ধরে। বিষয়টি প্রতিবাদ জানালে তাকে সেই বছর ফেল করে দেন সেই শিক্ষক বলে অভিযোগ মৃত ছাত্র অভিষেকের মা-বাবার। তারপর অভিষেককে তার মা-বাবা বিলোনিয়া কলেজে নিয়ে ভর্তি করায়। চলতি বছর পুনরায় সেমিস্টারের সেশন শুরু হওয়ার আগে কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্র অভিষেককে পুনরায় কলেজে ডেকে এনে ভর্তি হতে বাধ্য করে। কিন্তু গত একমাস আগে পুনরায় অভিযুক্ত শিক্ষক সৌম্য ভট্টাচার্যী অভিষেকের মা-বাবাকে কলেজে ডেকে নিয়ে জানান অভিষেক আগের মতো থাকলে, তার সাথে আগের মতো করবেন। ২৩ নভেম্বর যখন ফলাফল বের হয় তখন পুনরায় অভিষেক ফেল করে। ফলে গত দুদিন ধরে তার মন ছিল অত্যন্ত খারাপ।
তার মা-বাবাকে ফোন করে জানিয়েছিল ফেল করতে পারে না সে। আবারো তাকে অভিযুক্ত শিক্ষক পরিকল্পিতভাবে পাশ করতে দেয়নি। সে হাঁপানিয়া এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। শুক্রবার সকাল থেকে তার পরিবারের লোকজনেরা তাকে ফোন করে কোন সাড়া পায়নি। পরবর্তী সময় বাড়ির মালিকের কাছে ফোন করে জানতে পায় তার ঘরের দরজা জানালা সব বন্ধ রয়েছে। এ কথা জানতে পেরে অভিষেকের মা বাবা সহ আত্মীয় পরিজন শান্তির বাজার থেকে ছুটে এসে ঘরের দরজা ভেঙে দেখে তাদের স্বপ্ন দেখা ছেলেটি আত্মহত্যা পথ বেছে নিয়েছে। কান্নায় ভেঙে পড়ে ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা মা-বাবা। আত্মীয় পরিজনেরা কলেজে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়, কোন জবাব দিতে পারল না কলেজ কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আমতলী থানার পুলিশ। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। অসহায় মা বাবা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত দাবি জানান।