স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ নভেম্বর : ঝড়ো গতিতে চলছে স্মার্ট সিটির কাজ। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে আগে বাম আমল থেকে চলে আসে এই কাজে গতি আনতে চাইছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এবং স্মার্ট সিটি অংশ হিসেবে উজ্জয়ন্ত প্রসাদের চারদিকে সৌন্দর্যায়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এশিয়ান ডেভলাপম্যাণ্ট ব্যাঙ্ক থেকে প্রদেয় অর্থে দিয়ে এই কাজ সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। প্রসাদের সামনের ও পেছনের অংশে এই সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে।
প্রকল্পের মাধ্যমে উত্তর গেইট থেকে রাজবাড়ি আসার রাস্তার পাশে থাকা স্থাপত্যগুলিকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। আগে এই স্থানে আগে চলত নেশার ঠেক। এগুলিকে বন্ধ করা হয়েছে। এরপর ভূমি ও আলেখ্য দপ্তরে একটি অংশে একটি ফুড কোর্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। এই দপ্তরের একটি অংশ অগ্নিকান্ডের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। সেখানেই সৌন্দর্যায়নের কাজ করা হচ্ছে। এই কাজ শেষ হলে বহু পর্যটক আসবেন। তাদের কথা মাথায় রেখে টাউন হলের পেছনের অংশে থাকা পুর নিগমের জায়গায় একটি পার্কিং স্ট্যান্ড করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। বুধবার ৮ টাউন বড়দোয়ালী বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ১৪ নাম্বার বুথ প্যালেস কম্পাউন্ডে স্মার্ট সিটি প্রকল্পের কাজের বিষয়টি খতিয়ে দেখে একথা জানান পুর নিগমের কমিশনার শৈলেশ কুমার যাদব।
তিনি আরও জানান লক্ষ্মীনারায়ন বাড়ী দিঘীর পাড়ে একটি বাগান করা হবে। উজ্জয়ন্ত প্রসাদের সামনের বাগান গুলিকে সংস্কার করে সাজিয়ে তোলা হবে। মাঝে লাগানো হবে ফোয়ারা। দুর্গাবাড়ী পুকুরের মাঝে একটি ভাসমান ১১৭ মিটারের ফোয়ারা বসানো হবে। এতে থাকবে লেজার শো। উজ্জয়ন্ত প্রসাদের পেছনে থাকা ভাঙ্গা ফোয়ারা গুলিকে সংস্কার করা হবে। থাকবে বসার জায়গা। একই সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার জায়গা। তবে টাউন হলের পেছনের অংশে থাকা পুর নিগমের জায়গা নিয়ে কিছু সমস্যা হয়। এই নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। সকলের সম্মতি নিয়েই কাজ শুরু করা হবে বলে জানান আগরতলা পুর নিগমের কমিশনার শৈলেশ কুমার যাদব। এদিন সঙ্গে ছিলেন মেয়র ইন কাউন্সিলের সদস্য হিমানী দেববর্মা, স্মার্ট সিটি প্রকল্পের প্রকৌশলী সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা।