স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ নভেম্বর : সামনে একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লড়াই আসছে। ২০১৮ সালে ত্রিপুরা রাজ্য দুঃশাসকদের হাতে চলে গেছে। এই দুঃশাসকরা সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করছে শ্রমজীবী অংশে মানুষের উপর। তাই সরকারকে রেখে সমস্যার সমাধান হবে না। মঙ্গলবার ভানু ঘোষ স্মৃতি ভবনে ত্রিপুরা ইটভাটা শ্রমিক ইউনিয়নের ষষ্ঠ রাজ্য সম্মেলনে শ্রমজীবী অংশের মানুষদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রেখে এমনটাই বললেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার থাকবে আর শ্রমিকদের সমস্যার সমাধান হবে, মজুরি বাড়বে এবং মালিকদের লুণ্ঠন বন্ধ হবে ভাবলে ভুল করবে। তাই এই সরকারকে হাটাতে হবে। এ সরকার রেখে সমস্যা থেকে উত্তরণ হওয়া যাবে না। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো রাজ্যে উন্নয়নমূলক কাজ পুরোপুরি ভাবে বন্ধ হয়ে আছে। স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট, হাসপাতাল কোন কিছুর কাজ হচ্ছে না। যার ফলে শ্রমিকরা কাজ পাওয়া সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে ইটভাট্টার শ্রমিকরা সমস্যায় পড়েছে। কিন্তু বামফ্রন্ট সরকারের আমলে। ইট ভাট্টা মালিকরা যাতে কাজ করাতে পারে তার জন্য ব্যাংক থেকে অগ্রিম ঋণ প্রদান করা হতো। বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে তাতে মানুষের কাজ নেই খাদ্য নেই।
তার উপর দিয়ে জিনিসপত্রের দাম দিন দিন লাফিয়ে বাড়ছে। কিন্তু মজুরি বৃদ্ধি পেলে পরিস্থিতি পরিবর্তন হবে না। ধীরে ধীরে সংকল্পবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে। এবং শ্রমিক চেতনা নিয়ে যদি লড়াই ময়দানে নেওয়া যায় তাহলে পরিস্থিতি পরিবর্তন হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। আরো বলেন, ভোটে যেমন তেমন একটা সরকার পরিবর্তন করে অন্য একটা সরকারকে আনলে লাভ হবে না।
ফলে দেখা যাবে সেই শোষকরাই আসবে এবং শোষন চলবে। মূল লক্ষ্য রাখতে হবে শোষকদের হটাও, শোষিতদের স্বার্থে রক্ষক যারা তাদের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এবং তাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আগামী দিনে লড়াই করতে হবে বলে জানেন বিরোধী দলনেতা শ্রী সরকার। আয়োজিত সম্মেলনে এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।