স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ নভেম্বর : উত্তর পূর্বাঞ্চলে নেশা এবং অপরাধমূলক ঘটনায় এক রাজ্য অপর রাজ্যের সাথে জড়িত থাকে। আর এ ঘটনাগুলি রুখতে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি নয়া উদ্যোগ গ্রহণ করতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর প্রজ্ঞাভবনে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সকল রাজ্যের পুলিশের মহানির্দেশক সহ সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে ২৭ তম সম্মেলন শুরু হয়। দুদিনের এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা।
এছাড়াও ছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব জেকে সিনহা, রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন সহ অন্যান্যরা। এইদিনের কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে ড্রাগ বড় প্রভাব ফেলেছে। মায়ানমার থেকে ড্রাগ মিজোরাম, আসাম হয়ে ত্রিপুরা রাজ্যে প্রবেশ করে। ত্রিপুরা হয়ে এই ড্রাগ বাংলাদেশে পাচার করা হয়। আবার ত্রিপুরায় চাষ হওয়া গাঁজা বহিঃরাজ্যে পাচার করা হয়। রাজ্যে সরকার নেশার বিরুদ্ধে আপোষ হীন নিতি নিয়ে কাজ করছে। এই ধরনের আন্তরাজ্য সমস্যা গুলি নিয়ে এইদিনের কনফারেন্সে আলোচনা হবে। দীর্ঘ তিন বছর পর এই ধরনের কনফারেন্স হচ্ছে। ত্রিপুরা রাজ্যে দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকলের মধ্যে সমন্বয়ের বিষয়ে এইদিন কথা হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। এইদিনের কনফারেন্সের সার্থকতা কামনা করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা।
রহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী জানান রাজ্যে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করা রহিঙ্গাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। রহিঙ্গারা অন্যান্য রাজ্যেও যাচ্ছে। বিদেশি ইসুও রয়েছে। কিছু বিদেশি নাগরিক বৈধ ভাবে আসছে, আবার কিছু বিদেশি নাগরিক অবৈধ ভাবে আসছে। সবকিছু খতিয়ে দেখে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান। মূলত আন্তরাজ্য সমস্যা গুলিকে নিরসনের লক্ষ্যে এই কনফারেন্স করা হয়। এবং কনফারেন্সে আন্তরাজ্য সমস্যা গুলিকে সমাধানের লক্ষ্যে আলোচনা করা হয়। এখন দেখার বিষয় প্রশাসনের এ ধরনের তাৎপর্যমূলক বৈঠক আগামী দিনে কতটা নেশা এবং বেআইনি কার্যকলাপ উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে বন্ধ করতে সক্ষম হয়।