স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ নভেম্বর : ১৯৬৫ সালের ১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় বি এস এফ। দেশের সীমান্ত সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত বি এস এফ বাহিনী। দেশের ৬,৩৮৬.৩৬ সীমান্ত এলাকায় প্রহরারত রয়েছে বি এস এফ। ১৯২ টি ব্যাটেলিয়ানে মোট ক্ষমতা ২.৬ লক্ষ। শেষ ১০ বছর বি এস এফ মণিপুর ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্য গুলিতে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বড় ভূমিকা নিয়েছে বি এস এফ ।
উড়িশ্যা ও ছত্রিশগড়ে নকশাল দমনেও বি এস এফ দায়িত্ব প্রতিপালন করছে সফলতার সঙ্গে। মঙ্গলবার শালবাগান স্থিত বি এস এফ ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের সদর কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান বি এস এফ ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের আই জি সুশান্ত কুমার নাথ। ১৯৭১ সালের ভারত – পাকিস্তান যুদ্ধে বি এস এফ -র ভূমিকা স্মরণীয়। সেই সময় মুক্তি যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিতে রাজ্যের ৫ টি স্থানে প্রশিক্ষণ শিবির ছিল বি এস এফ-র। বুধবার বি এস এফ –র ৫৭ তম প্রতিষ্ঠা দিবস। বিগত এক বছরে রাজ্যে সাফল্যের ক্ষতিয়ান তুলে ধরেন বি এস এফ-র ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের আই জি সুশান্ত কুমার নাথ। এই সময়ের মধ্যে এন এল এফ টি-র দুই কট্টর সদস্য বি এস এফ-র কাছে আত্ম সমর্পণ করেছেন বলে জানান। এই দুই কট্টর সদস্য সহ ২৫ জন জঙ্গি দলের সদস্য আত্ম সমর্পণ করেছেন।
রাজ্যের সীমান্ত পাচার বানিজ্য বন্ধ, নেশা বিরোধী অভিজানেও সাফল্য অর্জন করেছে বি এস এফ। ১৩ লক্ষের কাছাকাছি ইয়াবা, ফেন্সিডিল সহ আরও নেশা সামগ্রী বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ২,২৮৮ টি গরু পাচারের সময় উদ্ধার হয়েছে। ৪২ হাজারের উপর গাঁজা গাছ নষ্ট করা হয়েছে বলে জানান তিনি। ১১৫ জন ভারতীয় নাগরিক ও ৯৩ জন বাংলাদেসী নাগরিককে এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান। গোটা রাজ্যই বি এস এফ-র অধীন রয়েছে। এই ক্ষেত্রে সীমান্ত থেকে ১৫, ৩০ বা ৫০ কিলোমিটার কোন বিষয়ের নেই। স্বাধীন ভাবে বি এস এফ কাজ করছে। তবে স্থানীয় আরক্ষা বাহীনির সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলেছে। অনেক সময় যৌথ অভিযান চালানো হয়। নেশা ও গাঁজা বিরোধী অভিযানে বি এস এফ সক্রিয়। সামঞ্জস্য বজায় রেখেই বিএস এফ তার ভূমিকা পালন করছে বলে জানান আই জি বি এস এফ- সুশান্ত কুমার নাথ।