স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ নভেম্বর : পৃথক রাজ্যের দাবিতে দিল্লির যন্তর মন্তরে মঙ্গলবার থেকে দুদিনের ধর্নায় বসল তিপরা মথা এবং আইপিএফটি পার্টি। দুই দলের প্রায় দেড় হাজার কর্মী সমর্থক এদিন সকাল থেকে ধর্নায় শামিল হয়। যন্তর মন্তরে দুই দলেরই শীর্ষস্থান নেতৃত্বরা শামিল হন।
এবং আওয়াজ তুলে তিপরাল্যান্ড এবং গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আইপিএফটি সাধারণ সম্পাদক মেভার কুমার জমাতিয়া সহ দলের বিধায়করা এবং তিপরা মথার চেয়ারম্যান প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন, বিজয় রাঙ্খল, চিত্র দেববর্মা, জগদীশ দেববর্মা, কমল কলই সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। পরে প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন বক্তব্য রেখে বলেন, ককবরক’কে একটি শব্দ রয়েছে সেটা হল থানসা। অর্থাৎ ঐক্যতা। যতদিন না পর্যন্ত পৃথক রাজ্যের দাবি পূরণ হবে ততদিন পর্যন্ত তিপরাসা লড়াই অব্যাহত থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী হতে চান না প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন।
গ্রেটার তিপরাল্যান্ড চায়। লাল বাতি, সিকিউরিটি এবং টাকা পয়সা এগুলির মানুষের সাথে সারা জীবন থাকে না। তাই একটাই দাবি সেটা হলো গ্রেটার তিপরাল্যান্ড। আর এ দাবি সনদ হিন্দি, ককবরক এবং ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহ অন্যান্য মন্ত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ১ ডিসেম্বর দিল্লিতে দাবিগুলি সামনে রেখে মিছিল সংঘটিত করা হবে। ত্রিপুরা রাজ্য ছোট হতে পারে কিন্তু হুকুম বড়। তাই ৩০ শতাংশ জনজাতি নিয়ে লড়াই করে এই দাবি আদায় করা হবে বলে জানান তিনি। এই দাবিগুলি নিয়ে কেউ যদি কোন ধোঁকা দিয়ে থাকে বা দাদাগিরি করে থাকে, তাহলে তাদের সাথে নেই তিপরাসা বলে জানিয়ে দেন তিনি। আরো বলেন কেউ যদি এই দাবি সমর্থন না করে তাহলে তার সাথে নেই তিপরাসা। পৃথক রাজ্যের দাবিটি গণতান্ত্রিক দাবি। এর একটি গণতান্ত্রিক উপায়ে বের করতে এ আন্দোলন। কারণ এই দাবি যদি আগামী দিনে পূরণ না হয় তাহলে জনজাতিদের উন্নয়ন হবে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। এই দাবিকে যদি কেউ সমর্থন করে আসতে চায় তাহলে স্বাগত জানানো হবে বলে মঞ্চ থেকে জানিয়ে দেন তিনি। পাশাপাশি এদিন ত্রিপুরা রাজ্যে মান্দাই সহ বেশ কয়েকটি স্থানে তিপরা পার্টির পক্ষ থেকে দাবি তুলে ধর্না অনুষ্ঠিত হয়।