স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ নভেম্বর : মানুষকে সুশাসন দেওয়া মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে উঠছে এক প্রকার প্রতারণার অভিযোগ। হতাশাগ্রস্ত হয়ে যখন আন্দোলন গড়ে তুলল তখন রাজ্য সরকার রাষ্ট্রীয় শক্তি কাজে লাগিয়ে আবারো রুখে দিল বেকার আন্দোলন। উল্লেখ্য, একসাথে নিয়োগের দাবিতে আবারো শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করলো এস টি জি টি উত্তীর্ণ চাকরি প্রত্যাশী যুবক-যুবতীরা। দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন ও ধর্না চালিয়ে আসছে অল ত্রিপুরা এস টি জি টি কোয়ালিফাইড ক্যান্ডিডেটস -২০২২।
এই দাবিতে বেশ কয়েকদিন যাবৎ শিক্ষামন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করছেন তারা। কিন্তু সঠিক কোন জবাব পাচ্ছে না উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা। বর্তমানে তারা দ্বিধাগ্রস্থ দুই মন্ত্রীর মধ্যে কার বক্তব্য সঠিক তা নিয়ে চাকরির প্রত্যাশী যুবক যুবতীদের মধ্যে এক প্রকার সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার ফের উমমুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে যায় এস টি জি টি উত্তীর্ণরা। তাদের বক্তব্য আর টি আই-র মাধ্যমে জানতে পেরেছেন বর্তমানে শিক্ষা দপ্তরে ৫,৩০০ টি শূন্যপদ রয়েছে। সেই শূন্যপদ গুলি পূরণ করা হলে সমস্ত এস টি জি টি উত্তীর্ণ এক সঙ্গে নিয়োগ করা সম্ভব হবে।
দ্রুত নিয়োগ পক্রিয়া শেষ করার জন্যও দাবি জানায় তারা। তাদের বক্তব্য শিক্ষামন্ত্রী ফাইল পাঠানোর বিষয়টি সেদিন তাদের অবগত করেছিল। সেই মোতাবেক এদিন তারা উপ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে জানতে পারেন তাঁর কাছে কোন ফাইল পাঠানো হয় নি। এভাবে একেকজন মন্ত্রী এক এক বক্তব্য ঘিরে তাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার ঘটে। নিয়োগ পক্রিয়া অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়ে তারা ছুটে যায় শিক্ষা মন্ত্রীর বাড়িতে। শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশকে এনে এই কয়েক শতাধিক বেকার কে গ্রেফতার করা হয়। বেকাররা পুলিশের গাড়িতে উঠে কান্নায় ভেঙে পড়ে। ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছে তারা। তবে শিক্ষামন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী তথা উপমুখ্যমন্ত্রী দুজনের দুই ধরনের বক্তব্য এ দিন হতাশা করেছে বেকার মহলকে। মন্ত্রিত্ব পদে বসে দুজনে দুই ধরনের বক্তব্য করে পেছনে মূলত কি রহস্য রয়েছে তা নিয়ে ভাবে তুলেছে এস টি জি টি উত্তীর্ণ বেকার যুবক যুবতীদের।