স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ নভেম্বর : সাংবাদিক সম্মেলন করে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী জনজাতি প্রসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন, তাতে ষ্পষ্ট হয়ে গেছে সি পি আই এম বর্তমানে দেউলিয়াপনার রাজনীতি শুরু করেছে। তিপ্রা মথা দলের সুপ্রিমো সম্প্রতি এম বি বি বিমান বন্দরে ককবরক ভাষায় ঘোষণা দেওয়ার দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি লিখেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সেই চিঠির জবাব দেন। ককবরক ভাষা বিমান বন্দরে চালু করা এখন সম্ভব নয় বলে জানান।
জিতেন্দ্র চৌধুরী জানান তিনি তিপ্রা মথা দলের সুপ্রিমোকে সমর্থন করেন। এই কথা বলে জিতেন্দ্র চৌধুরী প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মণকে পাশে চাইছেন। শনিবার বিজেপি রাজ্য কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই অভিমত ব্যক্ত করলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি বলেন, জনজাতি অংশের ভোটকে দলে টানতে জিতেন্দ্র চৌধুরী এই কথা বলেছেন। অথচ জিতেন্দ্র চৌধুরী মন্ত্রী থাকাকালীন সময় রাজবাড়ীর বিরুদ্ধে কথা বলতেন। সর্বদা বলতেন রাজ্যের রাজারা ছিল শোষক। এমনকি তিনি সাংসদ থাকাকালীন সময়ও এম বি বি বিমান বন্দরে ককবরক ভাষা চালু করার বিষয়ে সংসদে কোন কথা বলেন নি। সি পি আই এম ক্ষমতায় থাকা কালীন সময় অহংকারে বশীভুত হয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ভাবে কর্মচারীদের পরিচালনা করতে চেয়েছিল। যার কারনে ২০১৮ সালের নির্বাচনে কর্মচারী সমাজ সত্যের পক্ষে, উন্নয়নের পক্ষে রায় দিয়েছে। বর্তমান সরকার যখন সামাজিক ভাতা বৃদ্ধি করেছে, তখন সিপিআইএম-এর পেটে মোচড় ধরেছে। তারা এই বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না। নতুন ৩০ হাজার সামাজিক ভাতার জন্য মানুষ যখন লাইন ধরছে তখন সিদুরে মেঘ দেখছে। কারন তারা বুঝতে পারছে আগামি বিধানসভা নির্বাচনে গরিব অংশের ভোট বিজেপির পক্ষে যাবে। তাদের জয়ের কোন আশা নেই। তাই ভিত সন্ত্রস্ত হয়ে এখন তারা কর্মচারীদের হুমকি দিচ্ছে।
বর্তমান বিজেপি সরকার মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য-কে সম্মান জানিয়েছে। জনজাতিদের সম্মান জানিয়েছে। বর্তমান সরকারের সময় রাজ্যের তিন জন জনজাতি পদ্মশ্রী সম্মান পেয়েছে। রাজ্যের জনজাতিকে পদ্মশ্রী দেওয়া হবে কেউ কোনদিন ভাবতে পারে নি বলেও দাবি করেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি আরও জানান গণ্ডাছড়াকে গণ্ডা তুইসা নাম করন করা হয়েছে। বড়মুড়ার নাম করন হাতাই কতর করা হয়েছে, সেখানকার মানুষকে সম্মান জানিয়ে। মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্যর জন্মদিনে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ব্রু-রিয়াং শরণার্থী সমস্যা নিয়ে রাজ্যের পূর্বতন সরকার কোন কথা বলেনি। কিন্তু বর্তমান সরকার সেই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ত্রিপুরা রাজ্যে ব্রু-রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিরোধী দল গুলির পক্ষ থেকে প্রায় সময় বলা হয় রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা নেই। রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। পুলিশ বিজেপির দলদাসে পরিণত হয়েছে বলা হয়ে থাকে। বিরোধীদের এই অভিযোগের পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী স্বরাষ্ট্র দপ্তরের বেশকিছু তথ্য তুলে ধরেন। সেই সকল তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পূর্বের তুলনায় ভালো রয়েছে। নেশা সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করার ক্ষেত্রে ত্রিপুরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য গুলির মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। যুব সমাজকে বাঁচানোর জন্য বর্তমান রাজ্য সরকার নেশার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর সাথে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপির প্রবক্তা মনিকা দাস।