স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ নভেম্বর : বঞ্চনার শিকার সাফাই কর্মীরা। তোয়াক্কা করা হচ্ছে না সরকারি ভাবে বের হওয়া নির্দেশিকার।শনিবার আগরতলা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই বললেন অখিল ভারতীয় সাফাই মজদুর সংঘের রাষ্ট্রীয় সচিব তনুজ সাহা। তিনি জানান, ২০২১ সালের জুলাই মাসে সাফাই কর্মীদের স্বার্থে প্রথমবার সম্মান ও ন্যায্য পাওনা গুলি বিবেচনার জন্য রাজ্য সরকার সাফাই কর্মচারী কমিশন তৈরি করে।
শুক্রবার সাফাই কর্মচারী কমিশনের চেয়ারপার্সন অভিষেক চন্দের সঙ্গে সৌজন্য মূলক সাক্ষাৎকারে মিলিত হয় অখিল ভারতীয় সাফাই মজদুর সংঘ- ত্রিপুরা প্রদেশের প্রতিনিধিরা। আলোচনায় রাজ্যের সাফাই কর্মচারীরা কিভাবে বঞ্চিত হয়ে আসছে তার একটা দিক তুলে ধরা হয়। ২০২২ সালের ২৮ জুন শ্রম দপ্তর একটি নোটিফিকেশন জারি করে। তাতে সাফাই কর্মীদের ন্যূনতম বেতন ২০৪ টাকা থেকে ২৪৩ টাকা করা হয়। এই সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত কার্যকর হয় ২০২২ সালের ১ এপ্রিল থেকে। কিন্তু এম জি এম সি এন্ড জিবিপি হাসপাতাল, মেলাঘর মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল, বিলোনিয়া সহ বিভিন্ন স্থানে বেসরকারি সংস্থায় সরকারী নিয়ম অনুসরণ করা হচ্ছে না। পুরনো হারে বেতন দেওয়া হচ্ছে সাফাই কর্মীদের। এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতীবাদ জানায় অখিল ভারতীয় সাফাই মজদুর সংঘ- ত্রিপুরা প্রদেশ।
একই সঙ্গে ই পি এফ এবং সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানের বিষয়টিও সাফাই কর্মচারী কমিশনের চেয়ারপার্সনের গোচরে নেওয়া হয় বলে জানান তিনি। কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হয় এক সাফাই কর্মীর। এই ক্ষেত্রে সাফাই কর্মচারী কমিশনের চেয়ারপার্সনের কাছে দাবী জানানো হয় পরিবারের সদস্যকে চাকুরী অথবা আর্থিক সহায়তা প্রদান করার জন্য। সাফাই কর্মীদের জন্য ৫ কোটি টাকা রাজ্য সরকারকে দেওয়া হয়েছে। এর সুযোগ নিতে পারবে সাফাই কর্মীরা বলেও জানান তিনি। আগামী অর্থ বছরে এই সহায়তা বৃদ্ধি করার দাবী জানানো হয় তাদের পক্ষে থেকে। হরিজন শব্দ ব্যবহার না করার দাবিও সাংবাদিক সম্মেলন থেকে জানানো হয়। সাফাই কর্মীদের এধরনের একাধিক দাবী এদিন তুলে ধরেন অখিল ভারতীয় সাফাই মজদুর সংঘের রাষ্ট্রীয় সচিব তনুজ সাহা।