স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ নভেম্বর : ২০১৪ সালে আগরতলা শহর স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ঘোষণা করা হয়। তারপর ২০১৬ সালে কি কি অন্তর্ভুক্ত হবে সে বিষয়ে কেন্দ্রে রিপোর্ট পাঠানো হয়। তারপর স্মার্ট সিটি প্রকল্পে বহু কিছু পরিবর্তন এবং সংযোজন হয়। এ প্রকল্পের কাজ ছিল সর্বমোট ১০০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৭৮ কোটি টাকার রাজ্য সরকার দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রদান করেছে ২৯৭ কোটি টাকা। এখন রাজ্য সরকার হিসেব দিচ্ছে ৩৪২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। কিন্তু বাকি টাকা কেন এখনো রাজ্যে এসে পৌঁছায়নি, তা নিয়ে শুক্রবার সিপিআইএম রাজ্য দপ্তরের সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে। তিনি বলেন বর্তমান সরকারের সময়ের মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যে কতটুকু কাজ হয়েছে তা নজরে আসছে না।
কারণ আগরতলা শহরে উন্নয়নের গতি বন্ধ হয়ে আছে। আর রাজ্য সরকার মানুষকে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। ২০১৭ সালে স্মার্ট সিটি ১৯২ কোটি টাকা রাজ্যে এসেছিল। এ টাকা দিয়ে পুরোদমে কাজ শুরু হয়। পানীয় জলের সমস্যা সমাধান করার জন্য তিনটি প্রকল্পে কাজ শুরু হয়। সেসব কাজ অনেকটাই ২০১৮ সালের মধ্যে সম্পন্ন করে ফেলেছিল সরকার। এর মধ্যে ছিল চ্যালেঞ্জ হিসেবে বড়জলা, প্রৌগতি স্কুল এলাকা, বাধার ঘাট মাতৃপল্লী এলাকা, বর্ডার গোলচক্কর রামপুর এলাকায় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতার সাথে কাজ শুরু হয়েছিল। এ কাজ কতটা সম্পূর্ণ হয়েছে তা জানা নেই রাজ্যবাসীর। অপরদিকে ১৪ টি ওভারহেড ট্যাংক কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল।
এখন এগুলো থেকে মানুষ জল পাচ্ছে কিনা সেটাও অবগত নয় বলে জানান তিনি। দুটি অভারহেড ট্যাংক তৈরি করা হয়েছিল, কলেজ টিলা এবং বড়দোয়ালীতে ট্রিটমেন্ট প্লান্ট উন্নত করার জন্য অর্থ বরাদ্দ ছিল। এই কাজ কতটা হয়েছে সেটাও জানা নেই। এ কাজ গুলির জন্য আগে টাকা বরাদ্দ ছিল। ডিপটিউব ওয়েল ২৪ টির মধ্যে ২২ টি সম্পন্ন হয়েছিল। বাকি দুটি কাজ সম্পন্ন হয়েছে কিনা তা জানা নেই। আর এইগুলি সঠিকভাবে না হলে জল কতটা মানুষ পাবে সেটা বলা কষ্ট কর। আমরুদ প্রকল্পের জন্য ১৬৬ কোটি টাকা এসেছিল। এর কাজ কতটা সম্পূর্ণ হয়েছে তা জানা নেই। বটতলা এলাকায় পার্কিংয়ের জন্য টি আর টি সি মধ্যে মাল্টি স্টোরেজ বিল্ডিং তৈরি করার জন্য। জন নিষ্কাশনের জন্য আরো কয়েকটি পাম্প বসানো পরিকল্পনা আগরতলা শহরে নেওয়া হয়েছিল। বর্ডার গোল চক্কর থেকে ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত কভার ড্রেইনের কাজের গতি নেই। পাকা ড্রেইনের যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল তা নজরে আসছে না। এবং হকারদের জন্য নতুন কোন মার্কেট নজরে আসছে না বলে জানান তিনি।