Monday, February 17, 2025
বাড়িরাজ্যতৃণমূল কংগ্রেস সদ্যজাত শিশু নয়, ২২ বছরের বুড়ো : রতন

তৃণমূল কংগ্রেস সদ্যজাত শিশু নয়, ২২ বছরের বুড়ো : রতন

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ নভেম্বর : সদ্য সমাপ্ত পুর ও নগর ভোটের শুরু থেকে গণনা ও তার পরবর্তী সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে ভোটে সন্ত্রাস হয়েছে। বিজেপি দলের পক্ষ থেকে সর্বদা বলা হয়েছে কোন ধরনের সন্ত্রাসের অভিযোগ নেই। নির্বাচন কমিশন সঠিক ভাবে ভোট সম্পন্ন করেছে। উৎসবের মেজাজে শান্তিপূর্ণ ভাবে অবাধ ভোট হয়েছে। সোমবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটা বলেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ।

 তিনি বলেন বিরোধীদের কথা শুনলে মনে হয় এই রাজ্যে অতিতে কোনদিন ভোট হয়নি। তিনি ২০১৫ সালের পুর ও নগর নির্বাচনে বিভিন্ন অভিযোগের তথ্য তুলে ধরে বলেন এইবারের মতো শান্তিপূর্ণ ভোট আগে হয়নি। এইবার একটাও বোমার শব্দ শুনা যায়নি। একটাও খুনের অভিযোগ নেই। ২০১৫ সালের নির্বাচনের প্রাকলগ্নে দুর্জয়নগরে গুলি চলেছে। তখন বিভিন্ন সন্ত্রাসের অভিযোগ ছিল। যেমন ২০১৫ সালের পুর ও নগর নির্বাচন দেখা গেছে খোয়াই বিরোধী মনোনীত প্রার্থী কংগ্রেসকে প্রার্থীপদ তুলে নিতে হয়েছিল। এমনকি ভোট বয়কট করেছিল বিরোধী দল কংগ্রেস। এমনকি বোধজং নগরে সমাজদ্রোহীরা এক ব্যক্তিকে গুলি করে জখম করেছিল। মেলাঘরে মন্ত্রী বিধায়কদের উপস্থিতিতে সন্ত্রাস হয়েছিল। এইবারের মতো শান্তিপূর্ণ ভোট অতিতে কোন দিন দেখা যায়নি। তৃনমূল কংগ্রেস রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে ফের একবার রাজ্যের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তিন মাসে ভোটের নিরিখে তারা রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছে।

 তৃনমূল কংগ্রেসের এই বক্তব্য ভুল। মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন সিপিআইএম ও তৃনমূল কংগ্রেস দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান নিয়ে লড়াই করছে। তৃনমূল কংগ্রেস এই রাজ্যে নতুন নয়। রাজ্যে তৃনমূল কংগ্রেসের জন্ম হয়েছে ২২ বছর আগে। তথ্য তুলে ধরে তিনি আরও বলেন ১৯৯৯ সালের তুলনায় ২০০৪ সালে তৃনমূল কংগ্রেসের ভোট হ্রাস পেয়েছে রাজ্যে। ২০১৪ সালের ভোট তৃনমূল কংগ্রেসের কিছুটা বৃদ্ধি পায়। ২২ বছর আগে রাজ্যে তৃনমূল কংগ্রেসের যে ভোট ছিল তাও তারা ধরে রাখতে পারে নি। ১৯৯৯ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে সধীর রঞ্জন মজুমদার ভোট পেয়েছিলেন ২৬.৪০ শতাংশ। তখনো সুবল বাবুরা তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন। ২০০৪ সালে অমল মল্লিকের নেতৃত্বে ভোটে পায় তৃণমূল কংগ্রেস ৯.৬১ শতাংশ। ২০১৪ সালে রতন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ভোট পেয়েছিল ১০.৯৭ শতাংশ। সদ্য সমাপ্ত পুর ও নগর নির্বাচনে তৃনমূল কংগ্রেস সমগ্র রাজ্যে ভোট পেয়েছে ১৬.৩৯ শতাংশ। বিজেপি পেয়েছে ৫৯.০১ শতাংশ।

সিপিআইএম পেয়েছে ১৮.১৩ শতাংশ। কংগ্রেস পেয়েছে ২.০৭ শতাংশ। এইটা নির্বাচন কমিশনের রেকর্ড। নগর পঞ্চায়েত, পুর পরিষদ ও আগরতলা পুর নিগমের তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন আগরতলা পুর নিগম এলাকায় তৃনমূল কংগ্রেস সিপিআইএম থেকে কিছুটা বেশি ভোট পেয়েছে। সমগ্র রাজ্যের তৃনমূল কংগ্রেস ভোটের নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কিন্তু তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। তৃনমূল কংগ্রেসের জন্ম রাজ্যে ২২ বছর আগে। আর তারা বলছে তারা ৩ মাসের শিশু। তৃনমূল কংগ্রেস আরও বলছে ২০২৩ সালের নির্বাচনে তারা ক্ষমতা দখল করবে। ২০২৩ সালের নির্বাচনে তৃনমূল কংগ্রেস বিজেপির ধারে কাছে থাকবে না বলেও দাবি করেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী রতন লাল নাথ দাবি করেন ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপির ভোট রাজ্যে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিরোধী দলের ভোট ভাগাভাগি হচ্ছে। কিন্তু বিজেপির ভোট ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। সদ্য সমাপ্ত পুর ও নগর নির্বাচনে বড় মাত্রায় সরকারী কর্মচারীরা বিজেপি প্রার্থীদের ভোট দিয়েছে। তার জন্য মন্ত্রী রতন লাল নাথ সরকারী কর্মচারীদের অভিনন্দন জানান। পাশাপাশি যারা নির্বাচনে জয়ী হয়েছে এবং নির্বাচনের কাজে নিযুক্ত কর্মী ও ভোটারদের অভিনন্দন জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য