Friday, January 24, 2025
বাড়িরাজ্যপ্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর উন্নয়নমূলক কাজে বদ্ধপরিকর

প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর উন্নয়নমূলক কাজে বদ্ধপরিকর

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ নভেম্বর :  ২০১৯ সালে ১১ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ন্যাশনাল এনিমেল ডিজিস কন্ট্রোল প্রোগ্রামের সূচনা হয়। এই কর্মসূচি রূপায়ণে রাজ্য সরকার সর্বাত্মক প্রয়াস নিয়েছে। মূলত গবাদি পশুর ফুট এন্ড মাউথ এবং ব্রুসেলোসিস নামক ২০২৫ সালের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ ও ২০৩০ সালের মধ্যে নির্মূলকরণে জন্য এ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

 শুক্রবার মহাকরণে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এ বিষয়ে জানান প্রধান সচিব জে এস মিশ্রা। গবাদি পশু ফুট এন্ড মাউথ রুটি অত্যন্ত সংক্রমিত এবং ভাইরাস জনিত রোগ। এই রোগের লক্ষণ উচ্চ তাপমাত্রা মুখে ও ফুরায় ফুসকা করা এবং মুখ দিয়ে লালা নির্গত হওয়া। এ রোগ বিশেষ করে গাভী এবং বলদের হয়ে থাকে। এর ফলে দেশে প্রতি বছর ৫৬ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়। এই রোগ নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ব্যবস্থা হচ্ছে টিকাকরণ। প্রতি ছয় মাস পর পর গবাদি পশুর টিকাকরণ করাতে পারলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। আরো বলেন রাজ্যে প্রথম পর্যায়ে এ রোগের টিকা করুন শুরু হয়েছে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে। এই পর্যায়ে শুধুমাত্র গরু ও মহিষের জন্য টিকা করা হয়েছে। সর্বমোট ৬,৩২,৬২৩ টি টিকা করানো হয়েছে পরবর্তী সময় ছাগল ভেড়া ও শুকর এই টিকার আওতায় আনা হয়েছে। রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৩,২২,৭১০ টি গবাদি পশুর টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি। 

 অপরদিকে ব্রুসেলোসিস একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। বিশেষত গর্ভবতী গাভী এ রোগে আক্রান্ত হয়। এছাড়া প্রজননের জন্য ব্যবহৃত সার এই রোগে আক্রান্ত হয়। এই রোগ সংক্রমণের ফলে বছরে ১৮ থেকে ২০ কোটি খাবার উৎপাদন ব্যর্থ হয় এবং ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয়। বিশেষ করে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ফলে গর্ভকালীন সময়ের শেষ দিকে গর্ভপাত হওয়া বাছুর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তাই এইরূপ নির্মূল করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই রোগ নির্মূলী করনের একমাত্র উপায় হল গর্ভবতী হওয়ার আগেই বাছুরে টিকাকরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টিকাকরণ শুরু হয়েছে গত ১০ জানুয়ারি থেকে। টিকা করনের লক্ষ্যমাত্রা হলো ৩৭,৭১০ ডোজ। এখন পর্যন্ত ১০,০০৫ টি বাছুরকে এর টিকা করনের আওতায় আনা হয়েছে। দ্রুত এই টিকা করণের আওতায় আনা হচ্ছে বাছুর বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনার মাধ্যমে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৮০০ টি শুকর, ২৯০০ টি ছাগল, ৮০৯১ টি হাঁস, ২৪,২৬৯ টি পরিবারকে মোরগ প্রতিপালনের জন্য দেওয়া হয়েছে। ব্যয় হয়েছে ১১.৩৪ কোটি টাকা। পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের অধীনস্ত কলেজ অফ ভেটেনারি সাইন্স এন্ড এইচ আর কে নগরে ১৭ টি শাখায় চুক্তিভিত্তিতে এক বছরের জন্য ১৭ জন প্রফেসর নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরে ত্রিপুরা সরকার কর্তৃক প্রাপ্ত সহায়কদের মধ্য থেকে ৩৮ জনকে ১১ মাসের জন্য চুক্তিবদ্ধ নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের বিশেষ সচিব শশী কুমার।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য