Monday, February 10, 2025
বাড়িরাজ্য৭ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিলো জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি ১০,৩২৩

৭ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিলো জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি ১০,৩২৩

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ নভেম্বর : চাকরি হারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি সোমবার আগরতলা রেডক্রস সোসাইটি হলে বৈঠকের পর রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীকে সাত দিনের সময় বেধে দিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ার দেয়। চাকরি হারার শিক্ষক অজয় কুমার দেববর্মা জানান, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ত্রিপুরা বিধানসভায় চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তদন্তে রিপোর্ট বিধানসভায় তুলে ধরবেন বলে আশ্বস্ত করেছিলেন।

 কিন্তু বর্তমান সরকারের পাঁচ বছর মেয়াদকালের অন্তিম বিধানসভা অধিবেশনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এই রিপোর্ট তুলে ধরতে না পারায় ২৬ সেপ্টেম্বর বিধানসভার অভিযান করা হয়েছিল। কিন্তু দেখা গেছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস লেলিয়ে দিয়ে আন্দোলন রেখে দিয়েছিল সরকার। পরবর্তী সময় বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী পূবর্তন সরকারের আমলের মুখ্যমন্ত্রীর চাপে পড়ে বিধানসভায় ডেকে নিয়ে বলেছিলেন আইনি পরামর্শদাতাদের সাথে আলোচনা করে তাদের নিয়ে সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে। দীপাবলির মধ্যে ১০,৩২৩ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এক মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেল এখন পর্যন্ত চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়ে এখনো মুখ্যমন্ত্রী কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি।

এ সরকারের উদ্দেশ্যে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে তারা বলেন সাত দিনের মধ্যে যদি রাজ্য সরকার কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে জে এম সি ১০,৩২৩ চাকুরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা। এবং এই আন্দোলন রাজ্য স্তব্ধ করে দিতে পারে বলেও জানান তারা। আশ্চর্যজনক বিষয় হলো জে এম সি নেতারা এদিন রবীন্দ্র ভবন সংলগ্নে আমরণ অনশনে বসা ১০,৩২৩ ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক সমাজ নিয়ে তীব্র বিরোধ করে গোষ্ঠী কোন্দল স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এবং তাদের সাথে কোন ধরনের আন্দোলন না করে আমরণ অনশনে বসেছে বলে জানান চাকরিচ্যুত শিক্ষকা ডালিয়া দাস। এবং বলেন ১০,৩২৩ ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক সমাজের অবস্থান ঠিক নেই। কারণ তারা প্রথমে সরকারের পক্ষপাতিত্ব হয়ে লড়াই করেছিলেন। বর্তমানে সরকারি বিরোধীতা করে আমরণ অনশনে বসেছে। তীব্র ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেন এদিন। যদিও এদিন তাদের মধ্যে কয়েকজন জেএমসি নেতাকে আমারণ মঞ্চে কিছুদিন আগে দেখেছিল পথচারীরা। আসলে এর পেছনে কি কোন ধরনের ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা তা নিয়েও রীতিমত প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আবার বাস্তবে ১০,৩২৩ চাকুরি হারার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবস্থান কতটা ঠিক রয়েছে তাই প্রশ্ন উঠছে জনমনে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য