স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ নভেম্বর : বিশালগড় রাউৎখলায় গত ২ নভেম্বর কংগ্রেস ও বিজেপির সংঘর্ষের ঘটনার রেশ পরেরদিন আছড়ে পড়েছিল অফিস টিলা এলাকায়। এদিন সিপিআইএম কর্মী সমর্থকদের বাড়ি ঘরে রাতের বেলা ব্যাপক হামলা চালায় বাইক বাহিনী দুর্বৃত্তরা। ঘটনায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এলাকায় বহু বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকদের বাড়ি ঘর। শনিবার আক্রান্ত সি পি আই এম কর্মী সমর্থকদের বাড়ি ঘর পরিদর্শনে গেলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার সহ বিধায়ক ভানু লাল সাহা, সিপিআইএম মহাকুমা কমিটির সম্পাদক পার্থপ্রতিম মজুমদার।
ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ঘর পরিদর্শন করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার জানান, বিশালগড় চাইতে রাজ্যের অন্যান্য জায়গার পরিস্থিতি ভালো ভাবার কোন কারণ নেই। সারা ত্রিপুরায় বিজেপি যা করছে তারই কর্মধারা বিশালগড়েও হচ্ছে। শুধু বিজেপি পতাকা তুলতে পারবে এবং বিজেপি দলীয় অফিস খুলতে পারবে। এর জন্যই বলা হচ্ছে ফ্যাসিস্ট সুলভ সন্ত্রাস। এ রাজ্যে সংবিধান কাজ করে না। অর্থাৎ এর অর্থ হলো ত্রিপুরা রাজ্যে গণতন্ত্র, ব্যক্তি স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা এগুলি কিছুই নেই। তাদের কি ধরনের আচরণে যারা ২০১৮ সালে বিজেপিতে যোগদান করেছিল তারাই এখন বিজেপির ছেড়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে। তারা বুঝতে পারছে পুরোপুরি ভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছে। জনজাতি এলাকায় বাক্স খালি হচ্ছে এবং অন উপজাতি এলাকায় মানুষ তাদের ভাঙতে শুরু করেছে। এদিন তিনি আরো বলেন, ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনের পর যতগুলি নির্বাচন হয়েছে সবগুলিতে মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি বিজেপি। কিন্তু আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে মানুষের যে মনোভাব দেখা যাচ্ছে তাতে ষ্পষ্ট সেই সুযোগ শাসক দল বিজেপিকে আর রাজ্যের মানুষ দেবে না। তাই তাদের পায়ের নিচে মাটি এখন সরে যাচ্ছে বলে জানান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার।