স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ নভেম্বর : রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নারী সুরক্ষার কথা বলে গ্রাম পাহাড় সুশাসন আর থানসার স্লোগান তুলে মাঠঘাট গরম করেছে। কিন্তু এই সুশাসন আর থানসা কলঙ্কিত করলো জনজাতি এলাকায় সালিশি সভা। যা রীতিমতো দরদি নেতাদের মুখে চুনকালি মেখে দিয়েছে এদিন। সালিশি সভার নাম করে নাবালিকা মেয়েকে বেধড়ক মারধর করল গ্রামবাসী।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, তেলিয়ামুড়া থানাধীন ছনলং এলাকার এক নাবালিকা’র সঙ্গে তুইসিন্দ্রাই বাড়ি এলাকার দুই সন্তানের পিতার প্রণয় ঘটিত সম্পর্কের অভিযোগ ঘিরে গত ২ নভেম্বর হাওয়াইবাড়ি এলাকার প্রধান সহ এলাকার একাংশ শাসক দলীয় নেতাদের উপস্থিতিতে নাবালিকার বাড়িতে বসানো হয় সালিশি সভা। আর এই সালিশি সভা চলাকালীন সময়েই এলাকার এক টি.এস.আর জওয়ান নাবালিকা কন্যাটিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে আনে। তারপর নাবালিকা মেয়েটিকে গণধোলাই শুরু করে এলাকার কিছু পুরুষ মহিলা। অভিযুক্ত টি.এস.আর জওয়ানের নাম বিশ্বজিৎ দেববর্মা। বৃহস্পতিবার রাতে তেলিয়ামুড়ার সাংবাদিকদের নজরে আসলে ঘটনাটি পুলিশকে অবগত করে। কালবিলম্ব না করে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ ওই নির্যাতিত নাবালিকার বাড়িতে ছুটে যায়।
এবং তদন্তে নেমে পড়ে। এদিকে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, নাবালিকার সঙ্গে নেক্কারজনক ঘটনাটি যেন তার পরিবার পুলিশকে না জানায়। এর জন্য এলাকার মাতব্বররা রীতিমতো হুমকি দিয়েও চলেছে বলে সূত্রে খবর। এদিকে তেলিয়ামুড়া থানার ওসি সুব্রত চক্রবর্তী জানান, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি মামলা নিয়ে অভিযুক্ত টি এস আর জওয়ান বিশ্বজিৎ দেববর্মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এখন দেখার বিষয় নাবালিকা মেয়েটি কতটা সুষ্ঠু বিচার পায়।