স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ নভেম্বর : রাজধানী সংলগ্ন জগহরি মুড়া স্থিত সরোজ সংঘের মাঠটি দীর্ঘ দিন যাবৎ কিছু ঠিকেদার এবং অসাধু ব্যক্তির দখলে চলে যায়। এই মাঠের একটা বড় অংশ জুড়ে একটা সময় নির্মাণ সামগ্রী এবং নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ দখল করে নেয় মাঠের গড়িমা। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার জটিলতা দেখা দেয়। হস্তক্ষেপ করতে হয় পুলিশকেও। সমস্যা কিছুটা নিরসন হলেও তার পরিসমাপ্তি ঘটে নি।
এই মাঠের পূর্ণ ব্যবহার করার জন্য মাঠ সংস্কার সহ একাধিক দাবীতে মেয়রের দারস্থ স্থানীয়বাসিন্দারা। পুর নিগম থেকে মাঠ সংস্কার করে তা সকলের ব্যবহার ও খেলার উপযুক্ত করে দেওয়ার জন্য দাবি জানান। সেই মোতাবেক শুক্রবার সোরজ সংঘ মাঠ পরিদর্শনে যান মেয়র দীপক মজুমদার। পরিদর্শন শেষে মেয়র জানান সরোজ সংঘ সংলগ্ন মাঠ সংস্কার ও খেলার উপজুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই আগরতলা পুরনিগম মাঠ ও জলাশয় গুলি সংস্কারে হাত দিয়েছে। আগরতলাকে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তুলতে পুর নিগমের এই উদ্যোগ। স্থানীয়রা চাইছেন মাঠ সংস্কারের। সেই মোতাবেক পদক্ষেপ নেবে পুর নিগম। ক্রীড়া মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান মেয়র। তিনি স্পষ্ট জানান এই মাঠে কোন বিয়ে বাড়ি করা যাবে না। এই মাঠ খেলার জন্য কেবল ব্যবহার করা হবে। একই সঙ্গে তিনি সকলের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানান এই মাঠে একটা নেশার আসর না বসে। এই ক্ষেত্রে ক্লাব ও স্থানীয়দের বিশেষ ভাবে উদ্যোগ নেওয়ার বার্তা দেন তিনি। অসামাজিক কাজ বন্ধ করার জন্য বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন মেয়র। নেশার বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করার জন্য বার্তা দেন মেয়র দীপক মজুমদার।
সরকার কাজ করবে। কিন্তু জনগণের সক্রিয় সহযোগিতা না পেলে তা পূর্ণতা পায় না বলে জানান তিনি। কিন্তু সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সোরজ সংঘের এই মাঠটি ব্যবহার করে বিয়ে বাড়ি গড়ে তোলে লুট করার জন্য চেয়েছিল একাংশ সুযোগ সন্ধানী লোক। এর মধ্যে রয়েছে মাঠ সংলগ্ন এলাকার শাসক দলের নামধারী নেতা দীপঙ্কর বাবু। তিনি বাম আমলের ক্যাডার। বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর রাতারাতি গেরুয়া রামাবলি পড়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে যায়। এবং সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মাঠে বিয়ে বাড়ি তৈরি করার নেতৃত্বে দিয়েছিলেন তিনি। তার সাথে জড়িত রয়েছেন আরো অনেকে। বিষয়টি পরবর্তী সময় শাসক দল দ্বারা চাপা চাপা পড়ে যায়। এদিন যখন মেয়র পরিদর্শনে যান তখন বাম মদনপপুষ্ট বিজেপি নামধারী নেতাদের টনক নড়ে। এমনটাই গুঞ্জন চলছে এলাকায়।