Saturday, April 20, 2024
বাড়িরাজ্যদুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রদ্যোতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন রেবতী

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রদ্যোতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন রেবতী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ নভেম্বর : রাজারা একবার প্রতিশ্রুতি দিলে তা রক্ষা করতেন। এই দল ও তার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মন নির্বাচনের আগে স্বচ্ছ প্রশাসন দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। শুক্রবার আমবাসা সার্কিট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা বলেন পূর্ব ত্রিপুরা আসনের সংসদ রেবতী ত্রিপুরা।

তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের কন্ট্রোলার ও অডিটর জেনারেল  রাজ্যপালের নিকট একটি চিঠি প্রেরণ করে। যে চিঠিতে স্পষ্টভাবে  লেখা রয়েছে ত্রিপুরা জনজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের আর্থিক কোন অডিট হয় না। আর্থিক কোন শৃঙ্খলা কিংবা নিয়ম-নীতি মানা হয় না। এডিসি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। নিয়ম মেনেই সেখানে টাকা প্রদান করা হয়। সেখানে সবকিছু সাংবিধানিকভাবেই চলার কথা । কিন্তু তিপ্রামথা ক্ষমতায় আসার পর সাংবিধানিক কোন নিয়ম নীতি মানছে না। বর্তমান সময়ে রাজ্যপালের কাছে যে চিঠি এসেছে তাতে মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে।তিনি আরও বলেন এর বিরুদ্ধে জনজাতি মোর্চা ইতিমধ্যেই রাজ্যের সবকটি সাব জোনালে ডেপুটেশন প্রদান করেছে। এদিন ৮ টি জোনালে এর  বিরুদ্ধে ফের চার্জশিট দাখিল করা হয়। তার পরেও কোন সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে পরবর্তী সময় রাজভবন অভিযান সংঘটিত করা হবে। রাজ্যপালের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে জানান তিনি।

সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা আরও বলেন তীপ্রা মথা দলের  সুপ্রিমো ,  যিনি নিজেকে মহারাজ বলে পরিচয় দেন । যদিও গণতন্ত্রে মহারাজার কোন স্থান নেই। পরম্পরাগতভাবে তাঁকে অনেকেই মহারাজ বলে আখ্যায়িত করেন। রাজ্যের  মহারাজাদের স্বপ্নের প্রতি তারও সম্মান রাখা উচিৎ। আগের রাজারা একবার প্রতিশ্রুতি দিলে তা রক্ষা করতেন। এই দল ও তার সুপ্রীমো নির্বাচনের আগে স্বচ্ছ প্রশাসন দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। এই অভিযোগের পরেও কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল না। এই অবস্থায় তিপ্রা মথা দলের সুপ্রীমো উদ্যোগ নেবে বলে আশাবাদী সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা। সংবিধান সম্পর্কে তার অগাধ জ্ঞান। তাই এই সংবিধান মেনে কাজ করার বার্তা দেন সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা। তিপ্রা মথা দল গঠন করার সময় বলা হয়েছিল যে তারা তীপ্রাসাদের জন্য কাজ করবে। তারা একটি এনজিও থেকে রাজনৈতিক দলে আত্মপ্রকাশ করে। সেই আশাতেই সকলে বুক বেঁধেছিল তিপ্রাসারা।

কিন্তু বাস্তব চিত্রটা অন্যরকম হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা নিজেদের স্বার্থে কাজ করছে। সি ই এম এবং অনেক ই এম -রা রয়েছেন যারা পুলিশের ব্যারাক বানানোর নাম করে প্রচুর টাকা নিচ্ছেন। সেই টাকা দিয়ে নিজেদের বাড়ি তৈরি করছেন প্রাসাদের মত। যাদের নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই বলে লিখিত দিয়েছিল। এখন তারাই পুলিশের ব্যারাক বানানোর নামে টাকা নিয়ে যাচ্ছে। এই টাকার হিসাবে দিতে হবে বলে জানান সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা। তিনি বলেন রাজ্য সরকারের যা যা করণীয় রাজ্য সরকার করছে। রাজ্য সরকারকে কেন্দ্র থেকে যে টাকা পাঠানো হয় তার সঠিক সময় অডিট করা হয়। কিন্তু এডিসিতে কোন ধরনের অডিট করা হয় না। জোনাল কিংবা সাব জোনালে টেন্ডার ছাড়াই লক্ষ লক্ষ টাকার কাজ হয়ে যাচ্ছে। জনগণের টাকা জনগণের জন্যই যেন ব্যয় করা হয় তার দাবি জানান তিনি।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য