Friday, February 14, 2025
বাড়িরাজ্যআসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে ভুল ভাবছে বিজেপি, মানুষ তাদের ক্ষমা করবে না...

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে ভুল ভাবছে বিজেপি, মানুষ তাদের ক্ষমা করবে না : মানিক

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ নভেম্বর : শুধু শাসকদলের পার্টি অফিস থাকবে, আর বিরোধী কোন রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিস থাকবে না, এটা কেমন পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার সিপিএম রাজ্য কার্যালয়ে বিশালগড়ে সন্ত্রাসের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এমনটাই প্রশ্ন তুলেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। তিনি বলেন ২০১৮ সালের পর লোকসভা নির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচন, নগর সংস্থার নির্বাচন সহ সবগুলি নির্বাচনে বিজেপি যা করেছে, তা আগামী ২০২৩ -এর বিধানসভা নির্বাচনে করতে চাইছে। এটা বিজেপি’র জন বিছিন্নতার লক্ষণ।

মানুষ এগুলি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মেনে নেবে ভাবলে ভুল করছে বিজেপি। মানুষ বোকা নয়। অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছে মানুষ। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না। এবং সম্প্রতি বিশালগড়ে এবং বিলোনিয়ায় ঘটনাগুলো সংঘটিত হয়েছে সে ঘটনাগুলোর জন্য পুলিশকে নিরপেক্ষ ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু পুলিশ যদি নিরপেক্ষ ভূমিকা গ্রহণ না করে তাহলে তাদের উপর জনগণের ঘৃণা তৈরি হবে। বিজেপি সেই ঘৃণা সৃষ্টি করতে চাইছে। তাই পুলিশকে সদর্থক ভূমিকা নিতে আহ্বান জানান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার।রাউতখলায় কংগ্রেসের পার্টি অফিসে অগ্নি সংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানালেন বিরোধী দলনেতা। তিনি ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সাথে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান এদিন।

তিনি রাজ্যের বর্তমান বেকার আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, সম্প্রতি আগরতলা শহরে বেকার নার্স এবং যুবক-যুবতীরা বিক্ষোভে শামিল হয়েছে। বেকার যুবক-যুবতীদের ক্ষোভ ও বিক্ষোভ দমিয়ে রাখতে সরকার রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে যে রণংদেহি ভাব দেখাচ্ছে, এটা অত্যন্ত স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্ট সুলভ। এবং এটা একটা জন বিচ্ছিন্নতার লক্ষণ। কিন্তু এভাবে পুলিশ পল্টন দিয়ে দীর্ঘ সময় বেকার যুবক-যুবতীদের মুখ বন্ধ করে রাখতে পারবে না সরকার। কারণ ২০১৮ সালে আগে সবচেয়ে বেশি প্রলোভন যুবক যুবতীদের দেখিয়েছিল বিজেপি। যুবক-যুবতীরা এখন বুঝতে পারছে তাদের বিভ্রান্ত করেছে তখন তাদের দৃষ্টি শক্তি ঘুরিয়ে দিতে এগুলি করছে বিজেপি সরকার বলে অভিযোগ তুলেন তিনি।

পাশাপাশি গত ১৯ অক্টোবর থেকে ত্রিপুরায় ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে শাসক দল বিজেপিকে এদিন কাঠগড়ায় দাঁড় করায় বিরোধী দলনেতা। যতগুলি মহিলা বর্বচিত ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, সেগুলোর সাথে অধিকাংশই জড়িত বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য পুলিশের মহান নির্দেশক পুরোপুরি নীরব। এবং এটা মুখ্যমন্ত্রীর দুর্বলতার প্রকাশ বলে জানান বিরোধী দলনেতা। নারী অপরাধজনক ঘটনাগুলো সুষ্ঠু তদন্তের কোন লক্ষ্য নেই সরকারের। এবং সবচেয়ে জনক বিষয় হলো পুলিশকে বেকার ধরার ক্ষেত্রে যতটা অতি সক্রিয় হয়ে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় ততটা অতি সক্রিয় করতে দেখা যায়নি। এটা বঞ্চনীয় নয়। তাই পুলিশকে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করতে মেরুদন্ড সোজা করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে নিরেপেক্ষ ভূমিকা নিতে আহ্বান জানান তিনি।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য