স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ নভেম্বর : ১০,৩২৩ শিক্ষক শিক্ষিকারা বিজেপি সরকারের জনবিরোধী ভূমিকার জন্য কাজ হারিয়েছে। এবং তাদের মুখের গ্রাস হরণ করে নিয়েছে এই সরকার। কিন্তু ২০১৮ সালে ভোটের সময় ১০,৩২৩ -এর একটা অংশকে ব্যবহার করেছে বিজেপি। বিজেপির প্রতিশ্রুতি ছিল সরকারি আসলে ১০,৩২৩ -এর জন্য কাজকর্মের ব্যবস্থা করবে।
আর সরকার ক্ষমতায় আসার পর ৫৫ মাসে তাদের কথাই শুনতে চাইছে না সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে গেলে পর্যন্ত তাদের আক্রান্ত হতে হচ্ছে। শুধু তাই নয় মহাকরন এবং বিধানসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গেলে পর্যন্ত তাদের আক্রান্ত হতে হচ্ছে। এগুলি নিয়ে বিরোধী দল সিপিআইএম বিধানসভায় লড়াই করতে হয়েছে। বুধবার সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতির ২০ তম ত্রিপুরা রাজ্য সম্মেলনে এমনটাই বলে তীব্র নিন্দা জানান রাজ্যের বিরোধী দল নেতা মানিক সরকার।
তিনি বলেন, কাজ, সম্মান, মর্যাদা, ভোটের অধিকার ইত্যাদির জন্য রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে হবে নারীদের। কারণ এই সরকার গরিব এবং মধ্যবিত্তে বুকে চাপা দিয়ে বসে আছে। শ্রমিক সংগঠনের সাথে যেসব মহিলারা জড়িত তাদের সাথে সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতির যোগাযোগ রাখতে হবে। তাহলে নারী সমিতি সংগঠন আগামী দিনের শক্তিশালী হবে। এবং পরিস্থিতি পাল্টাতে পারবে। না হলে সংগঠন নড়বড়ে হয়ে থাকবে। তাই এদিকে নজর দিতে হবে। এবং মায়েদের বোনদের শত্রু মিত্র চিনতে সহযোগিতা করতে হবে। এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লড়াই করতে হবে বলে জানান তিনি। পূর্বতন সরকারের আমলে রেগা এবং টুয়েপের কাজের মাধ্যমে মানুষের সহযোগিতা হতো। কেন্দ্রীয় সহযোগিতার না পাওয়া গেলেও টুয়েপের মাধ্যমে বছরে ৬০-৬২ দিনের কাজ হতো। এদিকে রেগা কাজ বছরে ৮৫ থেকে ৯০ দিনের কাজ হতো। এতে করে ত্রিপুরার সারা ভারতবর্ষের মধ্যে প্রথম স্থানে উঠে এসেছিল। এগুলি দিয়ে সন্তান বিক্রি এবং অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা রদ করা হয়েছে সেটা নয়। তখন রাজ্যের প্রায় ৫ থেকে ৬ টি দপ্তরে উদ্যোগে রাস্তাঘাট সংস্কার, পুকুর খনন সহ বিভিন্ন কাজ হতো।
তাতে অনাহারে মৃত্যুর বন্ধ হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে জনজাতি এলাকায় সমস্যা জটিল আকার ধারণ করতে শুরু করেছে। রাজ্যের যুবক-যুবতীরা এখন হতাশাগ্রস্ত হয়ে বহির্রাজ্যে চলে যাচ্ছে। এই অসহনীয় অবস্থা ত্রিপুরা রাজ্যে ছিল না। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মিসকল দিলে চাকরি হবে। এখন যখন বেকার যুবক-যুবতীরা মহাকরণ বা মন্ত্রী বাড়ির সামনে যাচ্ছেন তখন তাদের সাথে অমানবিক আচরণ হচ্ছে। টেনে হিঁচড়ে তাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিচ্ছে। এই পরিস্থিতি সৌজন্যতার বাইরে চলে গেছে। এই ঘটনায় তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। আরো বলেন, সরকারি কর্মচারীদের সপ্তম বেতন কমিশন প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তারা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে উপরে পড়ছে সেই প্রতিশ্রুতি পালন না হলেও বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবং এই সরকারের আমলে বছরে দুবার মহার্ঘ ভাতা পাওয়ার অধিকার পর্যন্ত হারিয়ে ফেলেছে সরকারি কর্মচারীরা। কিন্তু এ সরকার ৫৫ মাসে মাত্র দুবার ভাতা প্রদান করেছে। কিন্তু এ ধরনের একাধিক সমস্যায় পারিবারিক অভাব অনটনের জন্য মহিলাদের না খেয়ে ঘুমাতে হচ্ছে বলে জানান তিনি। আয়োজিত এই দিনের সম্মেলনে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।