Thursday, March 28, 2024
বাড়িরাজ্যনেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়তে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বর্তমান রাজ্য সরকার : মুখ্যমন্ত্রী

নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়তে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বর্তমান রাজ্য সরকার : মুখ্যমন্ত্রী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ নভেম্বর : নেশা সামগ্রী বিক্রেতাদের গ্রেপ্তার করলে শুধুমাত্র হবে না। এই নেশা সামগ্রী কোথায় থেকে আসছে তার উৎস খুজে বের করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নেশা কারবারের পিছনে প্রভাবশালী ব্যক্তি যুক্ত থাকে। কিন্তু কাউকেই ছাড়া হবে না। যারা নেশা সামগ্রী সেবন করে তারা ভিকটিম। তাদেরকে গ্রেফতার করে কোন লাভ হবে না।

 সময়ের কারণে তারা ভিকটিম হয়ে গেছে। ড্রাগ যারা সেবন করে তাদের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। তাদের কথাবার্তার মধ্যে অসংলগ্নতা পরিলক্ষিত হয়। নেশায় আসক্তদের নেশার কড়াল গ্রাস থেকে মুক্ত করতে উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। কোন সামাজিক সংস্থা নেশা মুক্তি কেন্দ্র খুলতে চাইলে সরকার সহযোগিতা করবে। যুব সমাজ নেশায় আসক্ত হয়ে পড়লে, নেশা মুক্ত ভারত ও নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়া কোন দিন সম্ভব হবে না।

বুধবার জাতীয় সেবা প্রকল্প দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে নেশা মুক্ত ত্রিপুরা বিষয়ক এক কর্মশালার উদ্বোধন করে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। সেমিনারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন বর্তমানে রাজ্য সরকারের যে সকল উন্নয়নমুখী প্রকল্প রয়েছে, সেগুলি জাতীয় সেবা প্রকল্পের স্বেচ্ছা সেবকদের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। বাংলাদেশে নেশা সামগ্রী পাচারের ক্ষেত্রে ত্রিপুরা রাজ্যকে করিডোর হিসাবে ব্যবহার করছে নেশা কারবারীরা। নেশা সামগ্রী পাচার রুখতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়তে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বর্তমান রাজ্য সরকার। সেই মোতাবেক আরক্ষা প্রশাসন নেশা বিরোধী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ধারাবাহিক ভাবে।

এতে সাফল্য পাচ্ছে আরক্ষা দপ্তর। সচেতনতা শিবিরের মাধ্যমে যুব সমাজকে সচেতন করতে হবে। যুব সমাজকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অনেক স্বপ্ন দেখছেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে যুবকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ভারত সরকার ও রাজ্য সরকার কাজ করছে। বর্তমানে যারা যুব তারাই আগামী দিনের দেশ পরিচালনা করবে। তাই তাদের কে নিজেদের বিষয়ে জানতে হবে। তবে তাদের মধ্যে বিকাশ ঘটবে। অন্যথায় নেশায় আসক্ত হয়ে পড়বে বলে জানান তিনি। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা। অনুষ্ঠানে এইদিন জাতীয় সেবা প্রকল্পের বেশ কয়েকজন স্বেচ্ছা সেবককে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এছাড়াও এইদিন ত্রিপুরা ষ্টেট এনএসএস সেলের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ত্রান তহবিলের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ১ লক্ষ ২০ হাজার ৬০২ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। ১৯৬৯ সালে জাতীয় সেবা প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল। মাত্র ৪ লক্ষ স্বেচ্ছা সেবী নিয়ে শুরু হওয়া এই প্রকল্পে বর্তমানে স্বেচ্ছা সেবক রয়েছে প্রায় ৪২ লক্ষ। এবং এই রাজ্যে ১৯৭০ সালে জাতীয় সেবা প্রকল্প শুরু হয়। ৬০০ স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে রাজ্যে এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল। বর্তমানে এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার। প্রতি বছরই রাজ্যে জাতীয় সেবা প্রকল্প দিবস উদযাপন করা হয়। এই বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রী।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য