স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ অক্টোবর : মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পরেও কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। শেষ পর্যন্ত হতাশার শিকার হয়ে আবারো রাস্তার পাশে অনশনে বসে পজেটিভ কর্মসূচির বলে দাবি করেন চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের একটা অংশ।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীর শিশু উদ্যান সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার পাশে আমরণ অনশনের মঞ্চ তৈরি করে চাকুরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের পুনরবহাল করার জন্য দাবি জানায়।
উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নেতৃত্ব প্রদীপ বণিক, প্রশান্ত দেববর্মা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। চাকরিচ্যুত শিক্ষক প্রদীপ বণিক জানান, বামফ্রন্ট সরকারের আমলে শিক্ষা দপ্তরে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে, গ্র্যাজুয়েটে এবং আন্ডার গ্র্যাজুয়েটে নিয়োগ করা হয়েছিল। পরবর্তী সময় এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর রাজ্যের কিছু সংখ্যক বেকার মামলা দায়ের করে উচ্চ আদালতে। আদালত গঠনমূলক রায় দেয়। কিন্তু শিক্ষা দপ্তরে তুঘলকী পনা সিদ্ধান্তে আদালতের রায়ের আগেই ১০,৩২৩ -এর শিক্ষক-শিক্ষিকা বিরোধী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে সুপ্রিম কোর্টে দারস্ত হলেও হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে। পরে ২০১৭ সালে ২৩ ডিসেম্বর ২০১০ এবং ২০১৪ সালের শিক্ষক সমাজকে টারমিনেট করে দেয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর। পরবর্তী সময় চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কথায় গুরুত্ব দেয়নি দপ্তর। শেষ পর্যন্ত কিছু শিক্ষিকারা এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ নেওয়া হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে রাজ্যের বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু এই সরকার প্রতিষ্ঠার আগে ৫ বছর মেয়াদকালের ভবিষ্যৎ দলিলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ১০,৩২৩ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আইন সংশোধন করে বিদ্যালয়ে পাঠানো ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ধরনের উদ্যোগ না নেওয়ায় চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা সুপ্রিম কোর্টে আর টি আই এর মাধ্যমে জানতে পারেন তন্ময় নাথের মামলার পক্ষ নয় তারা। তারপরও সরকারকে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পজেটিভ ভাবে জানান দেওয়া হয়। কিন্তু সরকার কোন উদ্যোগ না নেওয়া এবার আন্দোলনের চরম পর্যায়ে গিয়ে নীরব প্রতিবাদের অঙ্গ হিসেবে আমরণ অনশনে বসেছে বলে জানান প্রদীপ বণিক। আবারো সরকার প্রদানের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, আমরণ অনশন নাকি তাদের পজিটিভ কর্মসূচি। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের কাছে তারা দাবি জানায় পূর্ববর্তন সরকারের ভুল ব্যাখ্যার সংশোধন করে তাদের স্কুলের মুখী করার জন্য।
এদিকে তিপ্রা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মন দেশে বরিষ্ঠ আইনজীবী কপিল সিবালের সাথে সাক্ষাৎ করে ত্রিপুরার চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষকাদের ন্যায় দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন। প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মন আশাবাদী চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা ন্যয় পাবে। তবে কয়েক মাসের মধ্যেই বিধানসভায় নির্বাচন। নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিশ্রুতির উপর কতটা আসতে রাখবে চাকুরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা সেটাই এখন বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।