স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ নভেম্বর : ত্রিপুরায় নৈরাজ্য পরিস্থিতি চলছে। যে পরিস্থিতি ত্রিপুরার হয়েছে, সেই পরিস্থিতি দেশের কোন রাজ্যে হয় নি। বিরোধীরা কথা বলতে পারছে না, কর্মসূচি করতে পারছে না, পুলিশ তালা দিয়ে থানায় বসে থাকছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই। বিপ্লব দেবের গুন্ডারা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপর আক্রমণ করছে। রবিবার ৩ জন সাংবাদিকও আক্রান্ত হয়েছেন। রবিবার থানার ভেতরে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ সম্পূর্ণ নীরব দর্শক। পুলিশ নিজের দায়িত্ব পালন করে শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখার দায়িত্ব গ্রহণ করুক। বিজেপিকে খুশি করতে পুলিশের যে ধরনের ভূমিকা গ্রহণ করছে, তাতে রাজ্য পিছিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যের একটি বেসরকারি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই অভিমত ব্যক্ত করলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫০ বছর পিছিয়ে গেছে ত্রিপুরা। প্রশাসন যেন বিরোধীদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তার জন্য সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। তারপরেও এ ধরনের সন্ত্রাস চলছে।
বিজেপি পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। অনেক আশা নিয়ে সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিল মানুষ। এখন বাইক বাহিনী চলছে ত্রিপুরায়। আদালতের অবমাননা বিষয়টিও দাখিল করা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। তৃণমূল কংগ্রেসের ১১ জন মহিলা প্রার্থী আক্রান্ত হয়েছে। ত্রিপুরায় কি কি হয়েছে সব তথ্য শীর্ষ আদালতের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার মামলার শুনানি হবে বলে জানান তিনি। বহু তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের উপর আক্রমণ হয়েছে। শতাধিক মামলা হলেও একজন কেউ ডেকে থানায় আনা হয়নি। গণতন্ত্র বিক্রি করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরায় কোন শিল্প আসতে চাইছে না। বেকারত্ব বাড়ছে। কারণ বিপ্লব দেবের সরকার ভাঙার রাজনীতি এবং আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার রাজনীতি করছে। তৃণমূল ত্রিপুরায় এসেছে তিন মাস হয়েছে। তিন মাসে শাসক দল বিজেপির ভিত লড়ে গেছে। তবে বিপ্লব দেবের জেনে রাখা ভালো লেজে গোবরে হারানো হবে বিজেপিকে। যে পথে বিজেপি হাঁটছে সেই পথে হাঁটবে না তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের সাড়ে তিন বছরে কোনো উন্নয়ন হয়নি। পশ্চিমবঙ্গে উন্নয়ন হলে ত্রিপুরায় কেন উন্নয়ন হবে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তবে এবার আর তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে পারবে না বিজেপি। সিবিআই, ইডি সব শক্তি প্রয়োগ করুন। ত্রিপুরার মাটি থেকে তৃণমূল কংগ্রেস এ ইঞ্চি সরে দাঁড়াবে না। বিজেপি ভাইরাস একমাত্র দূর করতে পারবে তৃণমূল কংগ্রেস। গায়ের জোরে মানুষকে দমিয়ে রাখা যাবে না। সিপিআইএম চেয়েছিল দমিয়ে রাখতে। কিন্তু লাভ হয়নি। বিজেপিও চাইছেন মানুষকে দমিয়ে রাখতে, কিন্তু তিন মাসেই মাটি সরে গেছে বিজেপির বলে জানান তিনি। এদিন আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, প্রদেশ কংগ্রেসের আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।