স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৪ অক্টোবর : মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস অনুযায়ী এখন পর্যন্ত কোন বার্তা না পেয়ে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে অনশনের হুঁশিয়ারি দিলো ১০,৩২৩ -এর ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা সমাজ। শুক্রবার রাজধানীর ধলেশ্বর স্থিত একটি বেসরকারি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে চাকুরিচ্যুত শিক্ষক প্রদীপ বণিক জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী সাথে চাকরি হারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতিনিধি দল দেখা করে সুপ্রিম কোর্টে তথ্য জানার অধিকার আইনের নথি সহ তুলে ধরে স্কুলমুখী করার জন্য দাবি জানানো হয়েছিল।
কারণ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পক্ষভুক্ত ছিল মাত্র ৩৮ জন শিক্ষক শিক্ষিকা। কিন্তু আমলাদের ভুল ব্যাখ্যার কারণে বৃহদংশ আজ টার্মিনেট হয়ে আছে। মুখ্যমন্ত্রী চাকুরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের বক্তব্য শুনে আশ্বস্ত করেছিলেন দুর্গাপূজার পরই আইনজীবীদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু দেখা গেছে দুর্গাপূজা শেষ হয়ে যাওয়ার পর বেশ কয়েকদিন অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও সরকারের কোন সদর্থক ভূমিকা নেই। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাসের পর ইতিমধ্যে তিনজন চাকুরিচ্যুত শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী কোন বার্তা পাওয়া যায়নি। কিন্তু আগামী কয়েক দিনের মধ্যে যদি সরকার কোন বার্তা না দেয় তাহলে আগামী ২০ অক্টোবর থেকে চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা অনশনে বসবে বলে হুশিয়ারি দেন প্রদীপ বণিক।
বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পেছনে চাকুরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের বড় অগ্রণী ভূমিকা ছিল। কারণ যারা আজ সরকারের প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আইন সংশোধন করে চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের স্কুলমুখী করা হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সবকটি রাজনৈতিক দলই চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে ফায়দা লুটছে। পূর্বতন সরকারের আমলেও ঠকেছে এবং বর্তমান সরকারের আমলেও ঠকছে চাকরি হারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এমনকি তিপ্রা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মনের দিকেও আঙ্গুল তুলে সমালোচনা করেছেন তিনি।
দাবি জানায় সরকারের কাছে ন্যয় অনুযায়ী চাকুরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের স্কুলমুখী করার জন্য। না হলে অনশনের পথ ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই বলে জানান তিনি। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন চাকরিচ্যুত শিক্ষক বিশ্বজিৎ বণিক, প্রশান্ত দেববর্মা সহ অন্যান্যরা।\