স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ নভেম্বর : ফুটবে এবার পদ্মফুল, বাংলা ছাড়ো তৃণমূল, এ তৃণমূল আর না, আর না, আর না! বাবুল সুপ্রিয়র গান চালিয়ে বাবুল সুপ্রিয়কেই সভাস্থল থেকে বিতাড়িত করলো বিজেপি। বিষয়টি রসিকতার হলেও রাজ্য রাজনৈতিক মহলে এমনটাই ঘটল শনিবার। নির্বাচনী প্রচারে বের হয় বিক্ষোভের মুখে পড়লেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব বাবুল সুপ্রিয়।
শনিবার বিকেলে তিনি রামনগর এলাকায় প্রচারের যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন বলে সূত্রে খবর। কিন্তু পরিকল্পিতভাবে দুর্গা চৌমুহনি এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকে অন্যান্য দলের রাজনৈতিক কর্মী সমর্থকরা। বাবুল সুপ্রিয় গাড়ি করে দূর্গা চৌমুহনী এলাকায় আসতেই গাড়ি আটক করে হুলুস্থুল শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। শেষ পর্যন্ত বাবুল সুপ্রিয় গাড়ি থেকে নেমে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে গেলে ঘটনাস্থলে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পশ্চিম থানার পুলিশ এবং রামনগর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে এসে বাবুল সুপ্রিয়কে বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে মুক্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় সৃষ্টি হয় চাঞ্চল্য। অভিযোগের তীর শাসক দলের দিকে। কারণ বিক্ষোভকারীরা মুখ্যমন্ত্রীর নাম উচ্চারণ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলো বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। এবং আজকের ঘটনা বিজেপি’র নোংরা রাজনীতি বলে জানান বাবুল সুপ্রিয়।
দুর্গা চৌমুহনির পর এদিকে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমূল কংগ্রেস প্রার্থী পান্না দেবের সমর্থনে ইন্দ্রনগর বাজারে এক জনসভায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব বাবুল সুপ্রিয় সভা নির্বাচনী সভা করতে গেলে সৃষ্টি হয় উত্তেজনা। বিজেপি কর্মীরা সভাস্থল থেকে ১০ মিটারের মধ্যেই গান বাজাতে শুরু করে। পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে গান বন্ধ করতে যান বাবুল সুপ্রিয়। মাঝপথে পুলিশের বাধা প্রাপ্ত হয়ে সভা করতে পারলো না তৃণমূল কংগ্রেস। এর পরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। পরে বিজেপি কর্মীরা বাবুল সুপ্রিয় এবং ফিরহাদ হাকিমের উপর হামলা করে। তারা সভা থেকে বেরোতে চাইলে তাদের ঘিরে ফেলে দুর্বৃত্তরা। আগরতলা পুরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী পান্না দেবকে আক্রমণ করে। বর্তমানে পান্না দেব জি. বি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয় জানান তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলাদের গায়ে হাত তুলেছে বিজেপি। এদিকে আহত পান্না দেব জানান, এদিন সভা বিঘ্নিত করার পর তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের রক্ষার জন্য সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আচমকা বিজেপির দুর্বৃত্তরা এসে ইট দিয়ে উনার নাকে আঘাত করেছে। ঘটনাস্থলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। তারপরও দুর্বৃত্তরা রেহাই দেয়নি। বেধড়ক মারধর করেছে বলে অভিযোগ। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী।