Saturday, February 15, 2025
বাড়িরাজ্যত্রিপুরার নেশাকারবারীরা পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে আত্মগোপন করে আছে : মুখ্যমন্ত্রী

ত্রিপুরার নেশাকারবারীরা পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে আত্মগোপন করে আছে : মুখ্যমন্ত্রী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ নভেম্বর।  শনিবার সন্ধ্যায় ৯ বনমালিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত আগরতলা পুর নিগমের ২৪ নং ওয়ার্ডের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী সুখময় সাহা ও ২৫ নং ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সিমা দেবনাথের সমর্থনে হয় নির্বাচনী জন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় আশ্রম চৌমুহনী এলাকায়। আয়োজিত এই সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে এক মন্ত্রী এসে বলেছে ৫ মিনিটের মধ্যে ত্রিপুরাকে শেষ করে দেবে। ৫ মিনিট নয়, ৫০০ বছর সময় দেওয়া হল যদি কারোর ক্ষমতা থাকে তাহলে ত্রিপুরাতে গুন্ডাগিরি, মাফিয়াগিরি করে দেখাক। নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ার অঙ্গীকার নিয়েছে সরকার। এই রাজ্যের তিন বড় নেশাকারবারী পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে বসে আছে । চিহ্নিত করার পরেও পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তাদের পাকড়াও করতে কোন সহযোগিতা করেনি। কারন ত্রিপুরাকে

নেশা যুক্ত করতে সেই নেশাকারবারীদের থেকে টাকা নিয়ে গুন্ডাগিরি করার জন্য ত্রিপুরায় আসে তারা। রাজ্যকে নেসা মূক্ট কড়তে দিন রাত  সবচ্ছতার সঙ্গে কাজ  করছে সরকার। আর অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে নেশাকারীদের চিহ্নিত করার পরেও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সহায়তা করেনি। সেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। কোটি কোটী টাকার ঘুষ নিয়ে বসে আসে। পশ্চিমবঙ্গকে শেষ করে দিয়েছে তৃণমূল। পশ্চিমবঙ্গের নেতারা সারদা, নারদা , ধর্ষণ, হত্যার মত ঘটনায় জড়িত। তারাই আবার ত্রিপুরায় আসছে। মাতৃ জাতির অসম্মান করছে তৃণমূল নেতারা বলে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

আগেও একটা দল ছিল । তারা পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়নি। কারন তাদের নেতা কে, কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন। কি মার্গ দর্শন করবেন তা রাজ্যবাসী জানতো না। তাই এদের দ্বারা রাজ্য চলবে না তা মানুষ বুঝে গিয়েছিল। কিন্তু তার পরেও কংগ্রেসকে ৪৪ শতাংশ ভোট দিয়েছে রাজ্যের মানুষ। কিন্তু সেই দলের নেতারা ৪২ থেকে ৪৪ আসন দখল করতে পারেনি। ২ শতাংশ ভোট সংগ্রহ করতে পারেনি তাদের নেতার কারনে। আজকে  তাদের মধ্যে কেউ কেউ লুকিয়ে লুকিয়ে কলকাতা দিয়ে তাদের আমন্ত্রণ জানায়। বার্তা দেয় পাশে থাকার। লোসভা নির্বাচনে তারা ছিল। এবার পুর ও নগরের নির্বাচনে মানুষ তাদের সঠিক রাস্তা দেখাবে। আরেকজন কিছু দিন আগে তাদের সংস্পর্শে গিয়েছেন। এখন কিছু দিনের মধ্যেই বস্ত্রহীন হয়ে গেছেন। এত কম সময়ে বস্ত্রহীন হয়ে গেছেন। সেই দলের সংস্কৃতি এটাই বলে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

ত্রিপুরার মায়েরা নেশা মুক্ত ত্রিপুরা চায়। ত্রিপুরার মায়েরা গুন্ডা মুক্ত ত্রিপুরা চায়। ত্রিপুরা রাজ্যে মাফিয়া রাজের স্থান নেই। ত্রিপুরা রাজ্যে গরু পাচারকারীদের স্থান নেই।  ত্রিপুরাতে কয়লা পাচারকারীদের স্থান নেই।  ত্রিপুরাতে সিন্ডিকেট বাজের স্থান নেই। ত্রিপুরা রাজ্যে একমাত্র স্থান রয়েছে বাসের বোতল বানানো ভাই-বোনদের। কুইন পাইনাপেল যারা চাষ করে তাদের স্থান রয়েছে ত্রিপুরাতে।  যারা কাঁঠালের চাষ করে তাদের স্থান রয়েছে ত্রিপুরাতে। যারা কৃষিকাজ করে তাদের স্থান রয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যে।  সেই দিশাতে কাজ করছে ত্রিপুরা সরকার। কোন সরকারী কর্মচারীর কাছ থেকে বর্তমান সরকার চাঁদা নেয় না।  হাপটা তুলে না।  চাঁদার সন্ত্রাস থেকে সরকারি কর্মচারীরা মুক্তি পেয়েছে এই সরকারের সময়ে। পুরনো সরকারের সময় বিভিন্ন সংগঠনের নামে একের পর এক চাঁদা  তোলা হতো। বর্তমান সরকার রাজ্যবাসীর আশীর্বাদ নিয়ে এক নতুন দিশাতে কাজ করছে।  মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বিভিন্নভাবে চক্রান্ত করা হচ্ছে।  মানুষকে ফোন করা হচ্ছে। একটি সংস্থার মাধ্যমে সব কিছু করা হচ্ছে। কোনো কিছুতেই কাজ হবেনা ত্রিপুরাতে। ২৫ বছরের কমিউনিস্টদের ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে।  ভাঁওতাবাজির রাজ ত্রিপুরাতে চলে না।  ত্রিপুরাতে জিততে হলে ত্রিপুরার মানুষের হৃদয় জিততে হবে।  ত্রিপুরার মানুষকে ভালবাসতে হবে।  ত্রিপুরার মানুষ ভালোবাসা চায়।  ত্রিপুরার মানুষ সম্মান দিতে জানে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য