স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ সেপ্টেম্বর : বৃহস্পতিবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে রাজ্যবাসী স্বার্থে একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে এটা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া সমাজকল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের সামাজিক ভাতা বৃদ্ধি করে দুই হাজার টাকা করা হয়েছে।
তিন লক্ষ ১৮ হাজার ৪১৫ জন বেনিফিশিয়ারি এতে উপকৃত হবে। আগামী ১ অক্টোবর বেনিফিশিয়ারিদের একাউন্টে ২ হাজার টাকা ঢুকে যাবে। সরকার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যে আরও ৩০ হাজার সামাজিক ভাতা প্রদান করা হবে। দপ্তর কর্তৃক এই ভাতা ঘোষণা করা হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে সেই সামাজিক ভাতার ঘোষণা করা হবে। ৩০ হাজার সামাজিক ভাতার জন্য সরকারের প্রতি মাসে ৬ কোটি টাকা এবং বছরে ৭২ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে। মন্ত্রীসভার বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
রাজ্যে ৬ হাজার স্পেশাল এক্সিকিউটিভ নিয়োগ করা হবে আগামী এক মাসের মধ্যে। তারা পুলিশের অধীন কাজ করবে। প্রথমত তারা কন্টাক্ট বেসিক কাজ করবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা কম পক্ষে অষ্টম শ্রেণী উত্তীর্ণ হতে হবে। জেলা পুলিশ সুপার হবে তাদের নিয়োগের প্রধান মাধ্যম। চাকরির দরজা খুলে দিতে সরকার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তারা স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে বিভিন্ন থানা এবং পুলিশের হেডকোয়ার্টারে কাজ করবে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
রাজ্যে ৯৯৩১ টি অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে একজন করে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং সহায়িকা রয়েছে। রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য শেয়ারের উপর ১৫ শতাংশ বেতন বাড়ানো হবে। এবং আশা কর্মীদের ১৫ শতাংশ বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মন্ত্রীসভার বৈঠকে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
আগামী এক বছরের জন্য কন্টাক্ট বেসিক এর মাধ্যমে আর কে নগর ভেটেনারি কলেজের জন্য ১৭ জন প্রফেসর নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৩৭৪ জন বিভিন্ন পদে আইডি ডিপার্টমেন্টে নিয়োগ করার চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সহ অন্যান্য পদে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
রাজ্যে একযোগে সমস্ত টেট উত্তীর্ণ শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়োগ করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। এর জন্য রাজ্যের টেট উত্তীর্ণ সকলকে শুভেচ্ছা জানাই মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।