স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ১২ ডিসেম্বর : দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা হুমকির পর্যায়ে রয়েছে। আন্দোলনের নাম করে ভিন দেশ থেকে এবং বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে আর্থিক সহযোগিতা করে চলেছে। তাই গত ২৮ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রায়পুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক বৈঠক করেন বিভিন্ন রাজ্যের ডিজি এবং আইজিপিদের সঙ্গে। সেই বৈঠকে উঠে এসেছে অপরাধ দমন, যেকোনো দুর্ঘটনা রদ করা এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্রথম সারির হয়ে কাজ করছে পুলিশ। মানুষ শান্তি চায়। সে বিষয়গুলি নিয়ে শুক্রবার আগরতলা প্রজ্ঞা ভবনে রাজ্য পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।
এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় উঠে এসেছে কিভাবে নতুন ভারতের মতো নতুন ত্রিপুরা তৈরি করার জন্য পুলিশ বড় ভূমিকা নিতে পারে। শুক্রবার আগরতলা প্রজ্ঞাভবনের ৪ নং হলে বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। এ দিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অংশ নিতে গেলে তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন ২০১৪ সালের আগে দেশ টিকবে কি- টিকবে না সেটাই অনিশ্চিত হয়ে হয়ে দাঁড়িয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠার পর দেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হয়েছে। শান্তি ফিরে এসেছে ভারত বর্ষে। ত্রিপুরাতে ২০১৮ সালে বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সেই দিশা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে ত্রিপুরা সঠিক দিশায় চলছে। আইনশৃঙ্খলা সঠিক জায়গায় রয়েছে। ত্রিপুরা পুলিশের সংকল্প নিতে হবে আগামী দিন যাতে ত্রিপুরা শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শীর্ষস্থান দখল করে গোটা দেশের মধ্যে মডেল হতে পারে। এ কথা সমস্ত পুলিশ আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অনুরাগ ধ্যানকর, রাজ্যের মুখ্য সচিব জে কে সিনহা সহ বিভিন্ন আধিকারিক।

