স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ১ ডিসেম্বর : ত্রিপুরা পুলিশকে ম্যানেজ করে রাজ্যের বাইরে দুই কোটি টাকার শুকনো গাঁজা পাচার করার সময় আটক আসাম পুলিশের হাতে। ধৃত লরি চালক। প্রশ্নের মুখে ত্রিপুরার চোরাইবাড়ি থানা সহ একাধিক থানার বড়বাবু, মেজ বাবুর ভূমিকা নিয়ে। জানা যায়, সোমবার সকাল দশটা নাগাদ ত্রিপুরার পশ্চিম জেলার জিরানিয়া থেকে NL 06 A-7358 নম্বরের বারো চাকার একটি খালি লরি ত্রিপুরা সীমান্ত পেরিয়ে আসম চুরাইবাড়ি পুলিশের নাকা গেটে প্রবেশ করে। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে গাঁজা।
গাড়ির দুপাশে সাজানো ছিলো ৬৮ পেকেট শুকনো গাঁজা, যার পরিমাণ ৩৭০ কেজি। এদিকে জব্দকৃত গাঁজা গুলির কালোবাজারি মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকার অধিক বলে জানান সমজেলা পুলিশ অফিসার অনির্বাণ শর্মা। সঙ্গে আটক করা হয় লরি চালক রাকেশ চক্রবর্তীকে। ধৃত চালকের বাড়ি পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জিরানিয়া মহকুমার খামারবাড়ি এলাকায়। সে নিজের অপকর্মের কথা স্বীকার করে জানায় ত্রিশ হাজার টাকার বিনিময়ে গাঁজা গুলি জিরানিয়া থেকে লুং শিলং নিয়ে যাচ্ছে। সে আরো জানায় এর পূর্বেও এভাবে ত্রিপুরা থেকে গাঁজা বহিঃরাজ্যে পাচার করেছিল সে। পুলিশ ধৃত চালকের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনের সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত অব্যাহত রাখবে বলে জানান।
অপরদিকে, ত্রিপুরা পুলিশের নেশা বিরোধী অভিযান যে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে তার আরও একটি জলজ্যান্ত উদাহরণ এই ঘটনা। জাতীয় সড়কের উপর অনেকগুলি থানা পেরিয়ে সফলভাবে ত্রিপুরা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল এই গাঁজা বোঝাই লরিটি। এতে বলা যেতেই পারে ত্রিপুরা পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ফের আরো একবার প্রকাশ্যে এলো।

