স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ২০ নভেম্বর : আগামী দিন আগরতলা শহরে কি কি কাজ করা হবে সেই বিষয়ে পরিকল্পনা নিতে এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে বৃহস্পতিবার আগরতলা পুর নিগমের কনফারেন্স হলে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পুর নিগমের সকল কর্পোরেটর ও আধিকারিকদের নিয়ে এই বৈঠক করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুর নিগমের মেয়র দিপক মজুমদার, ডেপুটি মেয়র মনিকা দাস দত্ত, পুর নিগমের কমিশনার সহ টুডার আধিকারিকরা। মেয়র দীপক মজুমদার জানান বৃহত্তর আগরতলা পুর নিগমের জন্য যে প্লেন তৈরি করা হয়েছে।
সেই প্লেন নিয়ে এইদিন কর্পোরেটরদেড় সাথে আলোচনা করা হয়েছে। আগামি ২০ বছরকে সামনে রেখে আগরতলা শহরকে বর্ধিত করার জন্য মাস্টার প্লেন তৈরি করছে নগর উন্নয়ন দপ্তর। টুডার মাধ্যমে এই মাস্টার প্লেন তৈরি করা হয়েছে। প্রস্তাবিত মাস্টার প্লেন নিয়ে এইদিন কর্পোরেটররা তাদের মতামত দিয়েছে। এই প্লেন মুখ্যমন্ত্রীর গোচরে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর দাবি ও আপত্তি জানানোর জন্য নোটিফিকেশন জারি করা হবে। আগামি ২০ বছর পর যদি নতুন করে কোন মেডিক্যাল কলেজ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার প্রয়োজন করা হলে কোথায় কি করা হবে সবকিছু এই মাস্টার প্লেনে রাখা হয়েছে। শহরবাসিকে সার্বিক সুযোগ সুবিধা প্রদানের জন্য এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নগর উন্নয়ন প্রকল্পে ইতিমধ্যে আগরতলা পুর নিগমকে ৩৯ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা প্রদান করেছে।
এই টাকা থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডকে উন্নয়নের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা করে প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য, কোটি কোটি টাকা আগরতলার বিভিন্ন ওয়ার্ডের জন্য প্রদান করা হলো এই অর্থ রাশি দিয়ে ওয়ার্ডগুলিতে কতটা কাজ হচ্ছে সেটা ওয়ার্ড গুলির জনগণ ভালো বলতে পারবে। বিভিন্ন সময় পানীয় জল, রাস্তাঘাট, মশার উপদ্রব থেকে রেহাই পেতে বিভিন্ন ঔষধ প্রদান, নিকাশি ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অভিযোগ উঠছে নিগমের বিভিন্ন ওয়ার্ড এলাকায়। শুধু তাই নয় বিগত দিনে যে সমস্ত অর্থরাশি নিগমের ওয়ার্ডগুলি এলাকার জন্য দুর্গাপূজার সহ বিভিন্ন কারণে বরাদ্দ করা হয়েছিল সেই টাকা কোথায় গিয়েছে বা কত টাকা ব্যয় হয়েছে তার হিসেব মিলছে না ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দাদের। এমনটাই অভিযোগ আগরতলা শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড এলাকার মধ্যে কান পাতলে শোনা যায় জনগণের মুখে মুখে।

