স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ সেপ্টেম্বর : রাজ্যের প্রায় ৯৫ শতাংশের অধিক মানুষ মাছ খায়। চাহিদা তুলনায় মাছের যোগান রাজ্যে অনেক কম। ফলে বহির্রাজ্য এবং বাংলাদেশ থেকে মাছ আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হয়। প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা প্রকল্পের অধীনে দীর্ঘমেয়াদী ও উৎপাদন বৃদ্ধি ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার, পরিকাঠামো উন্নয়ন ও মৎস্যজীবীদের কল্যাণ ইত্যাদি উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের অধীনে ২০২২ – ২৩ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ২২০৬.১৪ লক্ষ টাকায় প্রজেক্টের অনুমোদন দিয়েছে। যার অধীনে কেন্দ্রীয় সহায়তা হিসেবে ১০৭৮.২৫ লক্ষ টাকা মঞ্জুর হয়েছে।
এছাড়াও ২০২০ – ২১ এবং ২০২১-২২ সালে ভারত সরকার প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার অধীনে যথাক্রমে ১৪৭৩.৯৬ লক্ষ টাকা ও ২০৩৪.২৩ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছে। সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ তথ্য জানান মৎস্য দপ্তরের প্রধান সচিব বি এস মিশ্রা। তিনি আরো বলেন, এই প্রকল্পে মাধ্যমে নতুন জলাশয় তৈরি করার মধ্য দিয়ে ১৭৫.৬৫ এক্টরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নির্ধারিত ৫০৯.১৮ হেক্টর জলাশয়ের মধ্যে ২০১.৪৪ হেক্টর জলাশয়ে মৎস্য চাষে জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। একটি চিংড়ি হ্যাচারি সমেত ১৪ টি হ্যাচারি নির্মাণ করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে পাঁচটি কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। ২৪ টি রঙিন মাছ পালন কেন্দ্রের মধ্যে আটটি নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১৬৪ টি বায়োফ্লক ইউনিটের মধ্যে ৪১ টি স্থাপন করা হয়েছে। ৮ টি মৎস্য বিপনীর মধ্যে ৬ টি চালু হয়েছে। তিনটি জ্যান্ত মাছ বিক্রয় কেন্দ্রের মধ্যে একটি চালু হয়েছে। এবং আরো দুটি খুব শীঘ্রই চালু করার জন্য প্রস্তুতি চলছে। ১৩ টি ফিড মিল স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। আরো বলেন, তাপ নিরোধী বক্স সমেত বাইসাইকেল মোটরসাইকেল ত্রিচক্র যান কেনার জন্যে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ২১৬ টি বাইসাইকেল, ৬৪ টি মোটরসাইকেল এবং ৩৯ টি ত্রিচক্র যান কেনা হয়েছে। পাশাপাশি মৎস্য চাষীদের সুবিধার্থে এবং মৎস্য চাষ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য ও পরামর্শ পাওয়ার জন্য একটি বিশেষ নম্বর চালু করা হয়েছে। দপ্তরের মূল উদ্দেশ্য মৎস্য চাষীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের অধিকর্তা দেবানন্দ রিয়াং, যুগ্ম অধিকর্তা অরনী দেববর্মা।