স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ সেপ্টেম্বর : সিপিআইএমের কর্মসূচি ঘিরে উত্তপ্ত খয়েরপুর। মঙ্গলবার জনজীবনের ১৭ দফা দাবি নিয়ে জিরানিয়া মহাকুমার উদ্যোগে খয়েরপুর যাত্রাবাড়ী থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল ছিল। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে মিছিলে অনুমতি ছিল না। কিন্তু তারপরও মিছিল বের হয় নির্ধারিত সময়ে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন সি পি আই এম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি বলেন, গত ৩ আগস্ট রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশকের কাছে আজকের এই কর্মসূচি সম্পর্কে নিরাপত্তার দাবি জানানো হয়েছিল।
এবং বলা হয়েছিল জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে এই কর্মসূচি করা হবে। কিন্তু সোমবার কর্মসূচির প্রস্তুতির শেষ লগ্নে আইনশৃঙ্খলার অবনতির অজুহাত দেখিয়ে রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় এই কর্মসূচি করা যাবে না। পুলিশের এহেন ভূমিকায় তীব্র নিন্দা জানান রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। আরো বলেন গত সাড়ে চার বছরের ত্রিপুরা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার পরিবেশ কে নষ্ট করেছে রাজ্যবাসী জানে। আর আজ যখন বামেদের মিছিল শুরু হয় তখন পুলিশ দিয়ে মিছিল আটকে দেওয়া হয়। এভাবে যারা রাজ্যে শাসন ব্যবস্থা চালাচ্ছে তাদের সরকারে থাকার কোন অধিকার নেই বলে বিজেপির দিকে আঙ্গুল তুলে দাবি করলেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। যেভাবে বিজেপি পুলিশ দিয়ে এবং তাদের কর্মী দিয়ে সিপিআইএমের কর্মসূচি বানচাল করতে চেয়েছে তাদের এই স্বৈরাচারী শাসন ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ চাইছে না। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা, চিকিৎসা পরিষেবা, রাস্তাঘাট এবং পানীয় জল সমস্ত পরিষেবা ভেঙে পড়েছে। এগুলি নিয়ে যখন বামেরা সরব হচ্ছে তখন তাদের উপর সন্ত্রাস নামিয়ে বিজেপি। মঙ্গলবার বামেদের কর্মসূচি থাকা বিষয়টি জেনে আগের দিনে রাত থেকে এলাকার নেতৃত্বদের বাড়িঘরের উপর হামলার ঘটনা সংঘটিত করেছে বিজেপি আশ্রিত দুর্বৃত্তরা।
থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে বক্তব্য রেখে বলেন এলাকায় প্রাক্তন বিধায়ক পবিত্র কর। তিনি বলেন স্থানীয় থানা ভূমিকা অত্যন্ত নেক্কার জনক। পুলিশের কাছে দাবি জানানো হচ্ছে যাতে চুরি-ডাকাতি বন্ধ করার ব্যবস্থা নেই। শান্তি বজায় রাখার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে। কারণ গণতন্ত্র পুলিশের হাতে। আরো বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষ সরব হতে শুরু করেছে। মানুষ এখন বিজেপির স্বৈরাচারী শাসন আর চাইছে না। তাই বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বদলেছে। এখন আগের মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছে। কিন্তু ইতিহাস লেখা হচ্ছে। রাজ্যের মানুষ তৈরি হচ্ছে। আর ছয় মাস পর বিজেপিকে ঢাকি সহ বিসর্জন দিতে হবে ত্রিপুরায়। এমনটাই বললেন এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক শ্রী কর। কিন্তু এই দিন সিপিআইএম নেতৃত্বরা বক্তব্য রাখার সময় অতর্কিত হামলা চালায় বিজেপির দুবৃত্তরা। পুলিশ ছিল সম্পূর্ণভাবে নির্বিকার। ঘটনায় আহত হয় কয়েকজন সিপিআইএম কর্মী সমর্থক সহ পথচারী।