স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ৩ নভেম্বর : গত ১৬ অক্টোবর মালবাহী ট্রেনের দুটি গভীর থেকে প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ কফ সিরাপ আটক করেছিল পুলিশ, রেল পুলিশ, কাস্টমস ও আসাম রাইফেলসের জওয়ানরা। দিল্লি থেকে আগত এই মালবাহী ট্রেনটিতে কয়েক কোটি টাকার কফ সিরাপ ছিল। যে দুটি বগিতে কফ সিরাপ গুলি পাওয়া গিয়েছিল সেই দুটি বগির নম্বর ৩০০৩০০১০৮৯২ এবং ৩১০৩২৪৫৭০৪৩ ।
মোট ১ লক্ষ ৭ হাজার ৮০০ কফ সিরাপ আটক করা হয়। পরবর্তী সময়ে প্রশাসন দুটি বগি শুরু করে দিয়ে তদন্তে নামে। এই ফেন্সি কান্ডে জড়িত ধৃত হিমাংশু ঝা ওরফে সোনুকে দিল্লি থেকে আগরতলা এন.সি.সি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সোমবার দুপুরের বিমানে তাকে আগরতলা নিয়ে পৌঁছায় ক্রাইম ব্রাঞ্চ টিম। এই মামলায় ইতিমধ্যে কলকাতায় গ্রেফতার হয়েছে অরুণ কুমার ঘোষ। যদিও তাকে এদিন রাজ্যে আনা হয়নি। খুব শীঘ্রই ট্রানজিট রিমান্ডে তাকে আগরতলা আনা হবে। ধৃতরা হলো হিমাংসগু ঝাঁ, রাজীব দাশগুপ্ত, অরুণ কুমার ঘোষ। ক্রাইম ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর রুহুল আলম জানান, যাদের আটক করা হয়েছে তারা হলো হিমাংসগু ঝাঁ, রাজীব দাশগুপ্ত, অরুণ কুমার ঘোষ।
ধৃতরা আগরতলা এবং দিল্লির বাসিন্দা। তাদের আগরতলা, কলকাতা এবং দিল্লী থেকে আটক করা হয়েছে। তিনি তদন্তের স্বার্থে আর কোনো কিছুই বলতে চাননি এই দিন। তবে শুধু এই তিনজন দ্বারা রাজ্যে নিষিদ্ধ কফ সিরাপ পাচার হয়েছে সেটা ভাবলে ভুল হবে। কারণ রেলের কর্মকর্তাদের নজর এড়িয়ে এত পরিমানে সামগ্রী রাজ্যে পাচার করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। এর সঙ্গে রেল মন্ত্রকের কোন আধিকারিক জড়িত রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, মালবাহী ট্রেনটির মধ্যে যে কফ সিরাপ ছিল সেটা প্রশাসনের কাছে আগে থেকে ছিল না। বদরপুর আসার পর খবর পায় প্রশাসন। তারপর পিছু নেয় প্রশাসন। জিরানিয়া রেল স্টেশনে এসে আটক করতে সক্ষম হয়। তবে এই ঘটনায় মূল মাস্টারমাইন্ড অরুন কুমার ঘোষ। গত ১৭ অক্টোবর থেকে অরুন কুমার ঘোষ পলাতক ছিলেন। এদিকে যতদূর জানা যায় অভিযুক্ত তিনজন গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে রাজ্যের বেশ কিছু নেশা কারবারীর বোয়াল পলাতক রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে পুলিশ যদি সুষ্ঠু তদন্ত করে তাহলে আরো অনেকেই জালে উঠে আসতে পারে।

