স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ সেপ্টেম্বর : আগরতলা শহরে পুলিশি ব্যর্থতায় বাধ্য হয়ে নিজেরাই দিচ্ছে নৈশকালীন পাহাড়া। এই অবস্থায় জনরোষ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। শহরের তিনটি স্থানে চোর সন্দেহে আটক করে জনরোষের ঘটনা ঘটেছে ইতিমধ্যেই। আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেশ কয়েকজন সন্দেহ ভাজন। এই প্রবণতা চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসনের। আবার জনতা আটক করল চোর। জানা গেছে বিটারবনের সুনা মিয়ার বাড়ি থেকে তার ছেলে বিল্লাল মিয়ার TRO1B4963 নাম্বারের বাইকটি চুরি হয় ৮ সেপ্টেম্বর।
এলাকাবাসী সিসিটিভির ফুটেজ দেখে চোরকে শনাক্ত করে । উঠে আসে নরসিংগরের বাসিন্দা কুখ্যাত চোর সুদীপ শীল ওরফে রনির নাম। জানা যায় সে আগে বিটারবন এলাকায় ভাড়া থাকতো। রবিবার বিটারবনের বাসিন্দারা নরসিংগড় থেকে সেই চোরকে আটক করে। পরবর্তীতে এয়ারপোর্ট থানা থেকে আটক করা চোরকে দুর্গা চৌমুহনী ফাঁড়ির হাতে হস্তান্তর করা হয়। আটক করা চোরকে আনার খবর পৌঁছে যায় বিটারবন এলাকায়। ফাঁড়ির সামনে ভীড় জমায় এলাকাবাসী। ফাঁড়ির সামনে আসতেই পুলিশের গাড়ি আটকিয়ে আটক করা চোর সুদীপ শীলকে গাড়ি থেকে নামিয়ে প্রচণ্ড ভাবে মারধোর করে। জনরোষের মুখ থেকে তাকে উদ্ধার করতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। পরবর্তীতে এলাকাবাসী দুর্গা চৌমুহনী পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করে রাখে। তাদের দাবি তাদের হাতে চোরকে তুলে দেওয়া হোক। এই ঘটনায় আরো যে দুজন ছিল তাদের নাম প্রকাশ করুক পুলিশ। একটা সময় থানা ঘেরাও করার ফলে দেখা দেয় উত্তেজনা। ফাঁড়িতে আনা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। বিশাল পুলিশ বাহিনীর সাহায্যে আহত চোরকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। দুর্গা চৌমুহনী ফাঁড়ির ওসি জানান এটা কোন মতেই কাম্য নয়। কোন সন্দেহ থাকলে আইন নিজের হাতে না নিয়ে পুলিশকে সহায়তা করার আহ্বান জানান। পুলিশ জাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। এদিনের ঘটনায় জন রোষের মুখে পড়ে গুরুতর আহত হয় আটক চোর সুদীপ শীল। তবে পুলিশি ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কোন ভাবেই যুক্তি সংগত নয়। এই ঘটনা এদিন আরক্ষা প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বার্তা দিল বলে অভিমত বিশেষজ্ঞ মহলের।