স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ৩১ অক্টোবর : ৩১ অক্টোবর লৌহ মানব তথা ভারতবর্ষের প্রথম উপ প্রধানমন্ত্রী সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী। এই দিনটিকে স্মরণে রেখে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের উদ্যোগে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের সরকারি বাসভবনে আয়োজিত এই রক্তদান শিবিরে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সুনীল দেওধর। তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল দেশের প্রথম উপ প্রধানমন্ত্রী এবং গৃহ মন্ত্রী ছিলেন। তৎকালীন সময়ে পূর্ব পাকিস্তান যখন হয়েছিল তখন মুসলিমরা ত্রিপুরার মধ্যে প্রবেশ করে বলেছিল ত্রিপুরাকে পাকিস্তানের সঙ্গে যেতে হবে। তখন ত্রিপুরার মহারানী কাঞ্চনপ্রভা দেবী সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেন ত্রিপুরা হিন্দু বহুল রাজ্য। ত্রিপুরাকে ভারতের সঙ্গে রাখার জন্য।
তখন বিমানের মাধ্যমে ত্রিপুরায় সেনা পাঠিয়ে বল্লভ ভাই প্যাটেল ত্রিপুরাকে পাকিস্তান থেকে মুক্তি দিয়েছে। তারপর ত্রিপুরা ভারতের অংশ হয়ে যায়। এই বড় কাজ বল্লভ ভাই প্যাটেল করে গেছেন। নয়তো ত্রিপুরার জাতি জনজাতি অংশের লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ বাংলাদেশের মধ্যে থেকে গণহত্যার শিকার হতো। আরো বলেন তিনি আরো বলেন, মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্যের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তিনি যদি বিমানবন্দর না বানাতেন তাহলে বল্লভ ভাই প্যাটেল বিমান দিয়ে সেনা পাঠাতে পারতেন না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি মহান পুরুষ বল্লভ ভাই প্যাটেলের সবচেয়ে উঁচু স্ট্যাচু গুজরাটে নির্মাণ করেছেন।
এদিকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বলেন, সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের জন্য ত্রিপুরা ভারতের অন্তর্ভুক্ত হতে পেরেছে। নাহলে ত্রিপুরা ভারতের অন্তর্ভুক্ত হতে পারত না, বাংলাদেশে থাকতো ত্রিপুরা। আরো বলেন বাংলাদেশে গত এক বছর ধরে হিন্দু গণহত্যা চলছে। সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেল যদি ত্রিপুরাকে গুরুত্ব না দিত তাহলে বাংলাদেশের সেই বিভীষিকাময় দিনের স্বীকার ত্রিপুরার মানুষ হতো। তাই বল্লভ ভাই প্যাটেলের জন্মজয়ন্তী ত্রিপুরাবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিনের রক্তদান শিবিরে ৪০ জনের উপর স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে আসেন।

