স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ২২ অক্টোবর : ২৩ অক্টোবর আগরতলায় পিকেটিং করবে তিপ্রাসা সিভিল সোসাইটি। পিকেটিংয়ে নেতৃত্ব দেবেন তিপ্রা মথার বিধায়ক তথা প্রাক্তন জঙ্গি নেতা রঞ্জিত দেববর্মা। আগরতলায় বেশ কয়েকটি জায়গায় পিকেটিং করা হবে বলে বুধবার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন। বুধবার রাজধানীর উত্তর গেট সহ বেশ কয়েকটি জায়গা পরিদর্শন করে তিনি বলেন, সিভিল সোসাইটির অন্যান্য প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। আগরতলার পিকেটিংয়ের স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছেন উত্তর গেট, সার্কিট হাউস, মহাকরণ-বিধানসভা সহ রাজ্যের মোট ৪৫ টি জায়গায় পিকেটিং করা হবে। তার পাশাপাশি তিনি এও জানান জরুরী পরিষেবা বন্ধের আওতার বাইরে থাকবে।
আজকে তিনি বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করে খোঁজখবর নিয়েছেন। শান্তিপূর্ণভাবে এই বনধ করা হবে বলে জানান তিনি। যে দাবিগুলি নিয়ে এই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে সেগুলি নিয়ে তিনি উল্লেখ করে বলেন, গত ২০২৪ সালে ৪ সেপ্টেম্বর এন এল এফ টি এবং এ টি টি এফ সংগঠনের সাথে সরকারের যে চুক্তি হয়েছে, সেটাও। এছাড়া অন্যতম দাবি হলো কেন্দ্র সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্য সরকারের অনুপ্রবেশ রুখতে যে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা সেগুলি কিছুই নেওয়া হচ্ছে না। অবিলম্বে যাতে সেই সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি প্রতিটি জেলায় অবিলম্বে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করা হয়নি। অতিসত্বর যাতে ডিটেনশন ক্যাম্প করা হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ অনুসারে বিএসএফ, আসাম রাইফেলসের অফিসার ও জওয়ানদের নিয়ে স্পেশাল টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে। বেআইনি বিদেশি অনুপ্রবেশ রুখতে অবিলম্বে ত্রিপুরায় ইনার লাইন পারমিট চালু করতে হবে এবং অবৈধ ভাবে তৈরি করা তপশিলি জাতি ও তপশিলি জনজাতি শংসাপত্র বাতিল করতে হবে। ককবরক ভাষা রোমান হরফে লেখার জন্য অবিলম্বে সরকারি ঘোষণা করতে হবে। এছাড়াও রয়েছে স্বাক্ষরিত ত্রিপাক্ষিক তিপ্রাসা চুক্তি, যা অবিলম্বে কার্যকর করার জন্য সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে বনধ থেকে দাবি জানানো হবে। তবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই বনধের সমর্থনে করা হবে না। প্রত্যেক দপ্তরে কর্মীরা উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

