স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ সেপ্টেম্বর : শুক্রবার বোধজংনগরস্থিত শিল্প তালুকে উদ্যোগী ভবন এবং প্রদর্শনী ও তথ্য কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। একই সাথে পালন করা হয় ত্রিপুরা ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স এসোসিয়েশানের পঞ্চম প্রতিষ্ঠা দিবস। কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন কিছুদিন পূর্বে রাজ্যে বিজনেস সামিট হয়েছিল। সেই সামিটে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার মৌ স্বাক্ষর হয়েছে।
বর্তমানে শিল্পপতিরা রাজ্যে আসছে। শিল্প পতিরা রাজ্যে কাজ করতে চাইছে। রাজ্যে শিল্প স্থাপনে কোন ধরনের সমস্যা যেন না হয় তার জন্য সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম চালু করা হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তির কারনে সবকিছু বর্তমানে হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। বোধজংনগরস্থিত শিল্প তালুকে থাকা শিল্প থেকে উৎপাদিত সামগ্রী দেখে গর্ব বোধ হয়। আমদানির পাশাপাশি রপ্তানি বাণিজ্য না করলে কোন দেশ কিংবা রাজ্য আর্থিক ভাবে উন্নত হতে পারে না। বর্তমানে রাজ্যের বহু সামগ্রী বাংলাদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা যেন তুলে নেওয়া হয়, তার জন্য তিনি কথা বলবেন বলেও জানান। তিনি আরও বলেন রাজ্যে জে সকল সামগ্রী নেই সেই গুলি যেমন বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা হয়, তেমনি বাংলাদেশে জে সকল সামগ্রী নেই, কিন্তু রাজ্যে রয়েছে, সেই সকল সামগ্রী যেন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি করা যায়, সেই আধিকার রাজ্যকে দেওয়া প্রয়োজন। শিল্পের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন শান্তির পরিবেশ। কোন জায়গায় অশান্তির পরিবেশ থাকলে সেখানে শিল্পের উন্নয়ন সম্ভব নয়। পূর্বতন সরকারের সময় রাজ্যে শিল্পকে ধংশের পথে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন কর্মচারী আন্দোলনের নামে অশান্তির সৃষ্টি করে শিল্প গুলিকে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে পূর্বতন সরকারের সময়ে। ত্রিপুরা রাজ্যে শিল্পের ভবিষ্যৎ উজ্জল। কোন কিছু আন্দোলনের ফলে হয় না। সবকিছু নির্ভর করে দৃষ্টিভঙ্গির উপর। বর্তমানে সাব্রুম পর্যন্ত রেল চলে গেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা উদ্যোগী ভবন এবং প্রদর্শনী ও তথ্য কেন্দ্রের ফলক উন্মোচন করেন। মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী, ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা, শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিঙ্কু রায় সহ অন্যান্যরা। এইদিনের অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন দুস্থ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীকে সংবর্ধনা ও আর্থিক ভাবে সাহায্য করা হয় ত্রিপুরা ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স এসোসিয়েশানের পক্ষ থেকে।