স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ সেপ্টেম্বর : চাকরিচ্যুত ১০,৩২৩ শিক্ষক শিক্ষিকাদের একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার আবারো স্কুল-মুখী হওয়ার দাবিতে শিক্ষা ভবনে যায়। দপ্তরের অধিকর্তার সাথে দেখা করে বিস্তারিত তুলে ধরে স্কুলমুখী করার জন্য দাবি জানান। কিন্তু দপ্তরের অধিকর্তা জানিয়েছেন তাদের চাকুরি নেই।
তন্ময় নাথের মামলায় চাকুরি চলে গেছে। অধিকর্তা তাদের জানান তারা ক্লাব জাজমেন্টের শিকার। এই ক্ষেত্রে চাকুরী চ্যুত শিক্ষকদের দাবি ক্লাব জাজমেন্টের শিকাড় হলে ২০০৩-র নিয়োগ নীতি অনুযায়ী রাজ্যের বহু দপ্তরে নিয়োগ হয়েছে। কেন তবে তাদের ক্ষেত্রে এই নিয়োগ নীতি বাতিল হবে। এই সময়ে যারা চাকুরী পেয়েছেন তাদের সকলকে চাকুরী বাতিল করতে হবে। অধিকর্তার এই দাবিকে তারা মানতে নারাজ। প্রত্যেকের নামে টার্মিনেশন লেটার দেওয়ার দাবি জানান। দপ্তর তাদের সঙ্গে বৈমাত্রী সুলভ আচরণ করেছে বলে দাবি করেন তারা। সুপ্রীম কোর্ট থেকে প্রাপ্য কাগজ তারা মেনে চলবেন বলে জানান।
চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রতিনিধি দল সুপ্রিম কোর্টের আইটিআই দেখিয়ে বলেন তাদের সকলের চাকরি যায়নি। কারণ তারা সকলে এই মামলায় পক্ষভুক্ত নয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দপ্তরের অধিকর্তা তাদের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা বললে প্রতিনিধি দলকে জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্টে পুনরায় যাওয়ার জন্য। কিন্তু প্রতিনিধি দল বলেছেন তাদের কাছে আর্থিক ক্ষমতা নেই এখন পুনরায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার। সুতরাং সুপ্রিম কোর্টের আরটিআই চূড়ান্ত। তারপর দপ্তরের অধিকর্তা বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য তাদের কাছে সময়সীমা চায়। সুতরাং সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অধিকর্তাকে সময়সীমা বেঁধে দেন প্রতিনিধি দল। ১৪ দিন পর পুনরায় অধিকর্তার দ্বারস্থ হবে বলে জানান ডেপুটেশনের পর প্রতিনিধি দল। আরো বলেন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পুনরায় বিদ্যালয়ে চাকরিতে যোগ দিতে যাবে তারা। যদিও বিষয়টি সম্মতি দেননি দপ্তরের অধিকর্তা। এবং ১৪ দিন পর পুনরায় দপ্তরের অধিপত্যের দায়িত্ব হবে বলে জানান। কারণ ইতিমধ্যে ১৪০ জন শিক্ষক শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। তাই আর যাতে মৃত্যু না হয় তার জন্য অপেক্ষা করতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি সুরে বলেন প্রতিনিধ দল।