স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ সেপ্টেম্বর : দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ২,৫২৪ টি দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ৮,৫৩২ জনকে শিল্প ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান দেওয়া গেছে। সম্প্রতি দক্ষতা বৃদ্ধি মন্ত্রকের মন্ত্রী রাজ্যে এসেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন রাজ্যে একটি জাতীয় কর্মশালা খুব সহসাই করা হবে বলে। শুক্রবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে শিল্প ও বানিজ্য দপ্তরের কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত করতে গিয়ে এই কথা বলেন দপ্তরের সচিব ব্রীজেশ পাণ্ডে। জমি অধিগ্রহণে অর্থ প্রদান মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে শিল্প ও বানিজ্য নিগমের চেয়ারম্যান ও এম ডি -র কক্ষ সিল করে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতের যায় শিল্প ও বানিজ্য দপ্তর।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে খুলে দেওয়া হয়েছে কক্ষগুলি। তবে আগামী দিনেও জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ নিয়ে মামলা হতেই পারে। কিন্তু এই অর্থ নিয়ে কেউ চাপ দিলে তা মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে ফের আদালতে যাবে দপ্তর। ২২.১ কোটি টাকা শিল্প দপ্তর বিদ্যুৎ নিগমকে দেয় নিরবিছিন্ন সরবরাহ করার জন্য। কিন্তু বিদ্যুৎ সমস্যা রয়েই গেছে। ২০০১ -র পর পরিকাঠামোর উন্নয়ন হয়নি। তাই এখন নতুন করে পরিকাঠামোর উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। কিন্তু সমস্যার নিরসন হতে সময় লাগবে বলে জানান তিনি। সাব্রুম এস ই জেড –র জন্য শিল্পপতিদের আহ্বান জানান সচিব ব্রীজেশ পান্ডে। ২০২১-২২ অর্থ বছরে ১০০৮ কোটি টাকার ব্যবসা বাংলাদেশের সঙ্গে হয়েছে বলে জানান তিনি। কিন্তু কিছু কিছু সমস্যা আছে। কোভিড কালীন পরিস্থিতিতে বন্ধ হওয়া বর্ডার হাট এখনো চালু হয়নি। বাংলাদেশ সরকারের কাছে এই বর্ডার হাট চালুর বিষয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। মহুরিঘাট আই সি পি নির্মাণ নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়েছে। সোনামুড়া স্থল বন্দরের কাজ শেষ হয়েছে। কাঁঠাল ও আনারস মিশন শুরু হয়েছে। ৯০ হাজার হেক্টর এলাকায় রাবার চাষ হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে চাষিদের উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। চা শিল্পের জন্য রাজ্যে একটি অক্সন সেন্টারের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।