চুড়াইবাড়ি (অসম), ৩০ আগস্ট (হি.স.) : অসম-ত্রিপুরা আন্তঃরাজ্য সীমান্তবর্তী চুড়াইবড়ি (অসম) চেকগেটে এবার উদ্ধার হয়েছে ১১.৮২ কোটি টাকার ৪,৭২৮ কিলোগ্রাম গাঁজা। তবে গাঁজা পাচারের অভিযোগে কাউকে আটক করতে পারেনি চুড়াইবাড়ি ওয়াচপোস্টের পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার চুড়াইবাড়ি ওয়াচপোস্টের ইনচার্জ নিরঞ্জন দাস এই তথ্য দিয়ে জানান, গতকাল রাতে পুলিশের দল নিয়ে তাঁরা নাকাচেকিঙে ব্যস্ত ছিলেন। রাত তখন প্রায় ৮.২৫, ত্রিপুরা থেকে এএস ০১ এফসি ১৮৯৪ নম্বরের শ চাকার একটি পণ্য বোঝাই ট্রাক এসে অসম ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। যথারীতি ট্রাকর গতিরোধ করা হয়। সে সময় রাস্তায় ছিল প্রচণ্ড জ্যাম। অন্য গাড়িতে তালাশি চালিয়ে নির্দিষ্ট ওই ট্রাকের দিকে এগোন তাঁরা। ততক্ষণে ট্রাকের চালক বা সহ-চালক বা খালাসিরা পালিয়ে গা ঢাকা দিয়ে দেয়।
ট্রাকে কাউকে না পেয়ে অন্য লোক-লশকরের সহায়তায় উপরের ত্রিপাল সরিয়ে দেখা যায় এতে রয়েছে রবার শিট। সন্দেহের বশে রবার শিটগুলো সরিয়ে অভিযানকারী পুলিশ দলের চোখ ছানাবড়া। রবার শিটের নীচে সারিবদ্ধভাবে গাঁজার প্যাকেট সাজিয়ে রেখে পাচার করা হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে ট্রাক থেকে গাঁজার প্যাকেটগুলি নীচে নামানো হয়।
পুলিশ অফিসার নিরঞ্জন দাস জনান, তাঁরা যখন অন্য ট্রাক বা যানবাহনে তালাশি অভিযানে ব্যস্ত ছিলেন, সেই সুযোগে গাঁজা পাচারে ব্যবহৃত ট্রাকের চালক ও তার সঙ্গীর গা ঢাকা দিয়েছে। তবে স্থানীয় নিরপেক্ষ কয়েকজন সাক্ষী নিয়োজিত করে বহু কোটি টাকার গাঁজাগুলি তাঁরা বাজেয়াপ্ত করেছেন। তিনি জানান, ইতিমধ্যে ট্রাকের রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমে এর মালিকের সন্ধান চালানো হচ্ছে। ফলে কোন চালক, সহ-চালক বা খালাসি গাঁজা পাচারকারী ট্রাকে ছিল শিগগির তাদের আটক করা সম্ভব হবে, দাবি করেন ওয়াচপোস্টের ইনচার্জ নিরঞ্জন দাস।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ২৭ আগস্ট অসম-ত্রিপুরা আন্তঃরাজ্য সীমান্তবর্তী দুটি চেকগেটে পৃথক দুই লরি থেকে ১.১০ কোটি টাকার গাঁজা উদ্ধারের পাশাপাশি চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এদিনই প্রায় আট লক্ষ টাকার গাঁজা সহ উদ্ধার এক মহিলা সহ তিন পাচরাকারীকে গ্রেফতার করেছিল নিলামবাজার থানার পুলিশ। কেবল করিমগঞ্জ জেলায়ই নয়, গত এক বছরে গোটা অসমে বহু কোটি টাকার গাঁজা সহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সহ গ্রেফতার করা হয়েছে বহুজনকে।