Saturday, April 20, 2024
বাড়িরাজ্যউপ মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে বইয়ের উন্মোচন

উপ মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে বইয়ের উন্মোচন

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ আগস্ট : পূর্ণ রাজ্য প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে ত্রিপুরার। ত্রিপুরার উন্নয়ন একটা শিকলের মতন। তাই ১৯৪৯ সাল থেকে ২০২২-র আগস্ট মাস পর্যন্ত রাজ্যের যে সমস্ত উন্নতি হয়েছে তাকে একটি বই আকারে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। পরিকল্পনা দপ্তরের উদ্যোগে এই বইটি করা হয়েছে। রাজন্য আমলের কথাও এই বইতে স্থান পেয়েছে। দিল্লীতে প্রধানমন্ত্রী একটি প্রধানমন্ত্রী মিউজিয়াম করেছেন। স্বাধীনতার পর থেকে যে সমস্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাদের অবদানকে এই মিউজিয়ামে তুলে ধরা হয়েছে।

 সেই মোতাবেক ১৯৪৯ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত যারা রাজ্যের ক্ষমতায় ছিলেন তাদের রাজ্যকে সুন্দর বানানোর জন্য অবদান বইতে তুলে ধরা হয়েছে। এটা বর্তমান সময়ের জন্য অত্যন্ত জরুরী। ইতিহাসের সংরক্ষণ সঠিক ভাবে না থাকায় তাঁর বিকৃত করা হচ্ছে ধারাবাহিক ভাবে। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হয় গেরুয়া করনের। এটা করা হলে ১৯৪৯ সাল থেকে ইতিহাস তুলে ধরা হত না। মঙ্গলবার মহাকরণে ১৯৪৯ সাল থেকে ত্রিপুরার উন্নয়নের ঝলক শীর্ষক বইয়ের আবরণ উন্মোচন করে এই কথা বলেন উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা। বর্তমান সরকার চায় প্রকৃত ছবি রাজ্যের মানুষের সামনে তুলে ধরতে। এটা সকলের সহযোগিতা ও সকলের উন্নয়ন এবং বিশ্বাসের মাধ্যমেই সম্ভব বলে জানান তিনি। আগে ট্রেডা কি কাজ করত তা কেউ জানত না। এখন ট্রেডা রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকা গুলিতে কাজ করছে। তারা অম্পি, রইস্যাবাড়ি এলাকায় কাজ করছে।

গ্রামীন এলাকা গুলিতে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৭৫ বছরের যেই সময় কংগ্রেস ও সিপিএম পেয়েছে তাতে যা কাজ করার কথা ছিল তা সঠিক ভাবে হয়নি। এই কাজ সঠিক ভাবে হলে রাজ্যের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হত বলে জানান উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা। জনজাতিদের অবস্থা এই জায়গায় থাকত না। দুটি দল ৩৫ বছর করে রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল সেই সময় যা কাজ হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া এটা বর্তমান সরকারের বড় সাফল্য। ইতিহাস বহু রকমের হয় । রাজনৈতিক , অর্থ নৈতিক । তবে উন্নয়নের ইতিহাস এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী। প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন আত্ম নির্ভর ভারতের। এই ক্ষেত্রে উন্নয়নের ইতিহাস আবশ্যক বলে জানান তিনি। এর সাথে অর্থনীতি জড়িত। আগের সরকার নিজেদের বড়াই করত। কিন্তু বর্তমান সরকার আগের কোন সরকারের কাজকে অস্বীকার করে না বলে জানান উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা। প্রতিটি সোসাইতিতে একজন আইকন রয়েছেন। মহারাজা বীর বিক্রম মানিক্য ঠিক তেমনি একজন আইকন। কিন্তু পূর্বতন সরকারের কাছে চায়না ও ভিয়েতনাম বেশী গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাই তারা রাজাদের ইতিহাসকে অবজ্ঞা করত বলে কটাক্ষ করেন উপ মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা দপ্তরের সচিব, অধিকর্তা সহ অন্যান্যরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য