Tuesday, November 18, 2025
বাড়িরাজ্যদুর্গাপূজার ছুটিতে দুঃসাহসিক চুরি দুই বিদ্যালয়ে

দুর্গাপূজার ছুটিতে দুঃসাহসিক চুরি দুই বিদ্যালয়ে

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ৯ অক্টোবর : দুর্গাপূজার ছুটিতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে দুটি বিদ্যালয়ে। এর মধ্যে রয়েছে রাজধানীর বড়জলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। শিক্ষক শিক্ষিকারা ছুটি কাটিয়ে বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে এসে দেখতে পায় থাবা বসিয়েছে চোরের দল। বিদ্যালয়ের কম্পিউটারের সিপিও, বিদ্যুতিক পাখা, বিদ্যুতিক তার এবং বিজ্ঞান ল্যাবের বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে যায়। সাথে সাথে খবর দেওয়া হয় রামনগর ফাঁড়ির পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা দীপ্তি দেববর্মা জানান, বিদ্যালয়টি আগে থেকে রেড জোন এলাকায় রয়েছে।

 ৮ অক্টোবর পর্যন্ত দুর্গাপূজা এবং লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে বিদ্যালয় ছুটি ছিল। আজ বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষক শিক্ষিকারা লক্ষ্য করেন চুরি হয়েছে। তারপর তিনি নিজে ছুটে এসে দেখেন বিদ্যালয়ের ফিজিক্স ল্যাব থেকে অপটিক্যাল বেঞ্চ, মাইক্রোস্কোপ, মিটার ব্রীজ সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে গেছে এবং কিছু সরঞ্জাম ভেঙে গেছে। শুধু তাই নয় বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের পক্ষ থেকে আটটি রান্নার সিলিন্ডার সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে গেছে। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের নয়টি কম্পিউটারের সিপিও এবং নয়টি ইউপিএস নিয়ে গেছে। একই সাথে আটটি বিদ্যুতিক পাখা নিয়ে গেছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাসের এবং স্টাফ রুমের বিদ্যুতিক তার চুরি করে নিয়ে গেছে। পাশাপাশি গোটা বিদ্যালয়ের বিদ্যুতিক লাইন ছিন্ন করে দেয় চোরেরা। বিদ্যালয়ে ভাঙচুর করেছে চেয়ার টেবিল সহ অন্যান্য সরঞ্জাম। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আরো জানান, বিদ্যালয়ের কোন দেওয়াল নেই। একজন এলাকায় বিদ্যালয়টি আগে থেকেই সুরক্ষিত নয়।

বহুবার পরিচালন কমিটি এবং শিক্ষা দপ্তরের উদ্বোধন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছিল। কিন্তু এরই মধ্যে দুর্গাপূজার ছুটিতে থাবা বসিয়েছে চোরের দল। তিনি ধারণা করছেন হয়তো নেশা কারবারীরা এই ঘটনার সাথে জড়িত হতে পারে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকার মত হবে বলে জানান তিনি। ঘটনার পর বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছ থেকে চুরির অভিযোগ হাতে নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অপরদিকে তেলিয়ামুড়া থানার অন্তর্গত মাইগঙ্গা সুকান্ত দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ে থাবা বসালো চোরের দল। দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে বেশ কিছু দিন স্কুল বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার স্কুল খোলা হয়।

 এইদিন বিদ্যালয়ের প্রাত বিভাগের ইনচার্জ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখতে পান বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের রুম সহ মোট ৪ টি কক্ষের দরজা খোলা। তখন তিনি বুঝতে পারেন বিদ্যালয়ে চুরি হয়েছে। সাথে সাথে তিনি ঘটনার বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালন কমিটি ও বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষকে অবগত করেন। তাদের পরামর্শ মোতাবেক তিনি পুলিসকে খবর দেন। ঘটনার খবর পেয়ে বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সদস্য ও তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সকলে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে দেখতে পান বিদ্যালয়ের মোট ১০ টি আলমিরা খোলা অবস্থায় রয়েছে। এই আলমিয়ার মধ্যে রাখা গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বিদ্যালয়ের সিসি ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা।  গোটা ঘটনা প্রত্যক্ষ করার পর পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। এখন দেখার পুলিশ এই ঘটনার কিনারা করতে পারে কিনা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য