স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ২৭ সেপ্টেম্বর : চতুর্থীর সন্ধ্যা থেকে চলছে আগরতলা শহর নাকা বন্দী অবস্থা। তৃতীয়া এবং চতুর্থীর সন্ধ্যায় শহরের বিগ বাজেটের পূজাগুলি উদ্বোধন হয়ে গেছে। শহরে বনেদি ক্লাব গুলি দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দিয়েছে পূজা মন্ডপ। কারণ একদিকে যেমন পূজা দেখার জন্য মানুষের উৎসাহ বেশি, অপরদিকে আবহাওয়া নিয়ে অনেকটা চিন্তিত পুজো উদ্যোক্তারা এবং দর্শনার্থীরা। মহাষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। তাই পুজো দেখার জন্য কোনরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না অত্যুৎসাহী দর্শনার্থীরা।
চতুর্থীর মতো পঞ্চমীর দুপুর থেকে শহর নাকাবন্দি। পোস্ট অফিস চৌমুহনী, কামান চৌমুহনী, লক্ষীনারায়ণ বাড়ি রোড, জ্যাকসন গেট, ওরিয়েন্ট চৌমুহনী, বিদুর্কতা চৌমুহনি, মোটর স্ট্যান্ড, উত্তর গেট, হারাধন সংঘ সহ প্রধান সড়কগুলির অবস্থা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। শনিবার দুপুর থেকে এই ভিড় মানুষকে অনেকটাই দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। প্রতিটি পুজো মণ্ডপের সামনে যেমন ভিড় ছিল, তেমনি শহরের মোড় গুলিতে প্রচন্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সবচেয়ে বেশি দ্বিচক্র যান এবং ব্যক্তিগত গাড়ির কারণে মানুষ নাজেহাল হয়েছে। এদিন গাড়ি বাইক নিয়ে পুজো দেখার জন্য রাস্তায় নেমেছে দর্শনার্থীরা। যার কারণে সাধারণ পথচারীদের অত্যন্ত সমস্যায় পড়তে হয়। এক প্রকার ভাবে দম বন্ধ কর পরিস্থিতি হয়ে উঠে শহর আগরতলা। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে। পরিকল্পনার চূড়ান্ত অভাব থাকার কারণে নাজেহাল হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে সাধারণ মানুষকেও। সবচেয়ে বেশি যানজটের কারণ হলো আগরতলা শহরে প্রকৃত ট্রাফিক পুলিশের চরম অভাব। প্রশিক্ষণ চলাকালীন নব্য পুলিশ কনস্টবল এবং টিএসআর দিয়ে চলছে শহরের ট্রাফিক পরিষেবা। যাদের সাধারণত একটি ভিড় সামাল দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা নেই। তাদের লোক দেখানোর জন্য দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে শহরের মোড়ে মোড়ে। ফলে যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখার মত কোনরকম ব্যবস্থাপনা নেই। শুধু তাই নয়, প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে দুর্গা পূজার বাজারে প্রভাব পড়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, বহু মানুষ পুজোর জামা কাপড় কিনতে বাড়ি থেকে বের হয়ে অস্বাভাবিক ভিড়ের জন্য মাঝ রাস্তা থেকেই বাড়ি ফিরে গেছে। দর্শনার্থীদের অভিমত, ২৯ সেপ্টেম্বর সপ্তমীর সন্ধ্যা থেকে পুজো দেখতে বের হলে বাইকের এবং গাড়ির পাসের প্রয়োজন হবে। এই ঝামেলা এড়াতে তৃতীয়ার রাত থেকে পূজা দেখা শুরু করেছে দর্শনার্থীরা।

