স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ আগস্ট : পাল্টায় নি অতীত অভ্যাস। সরকারি দায়িত্ব পালন না করে চেম্বারে বসে রোগী দেখার অভিযোগ উঠল গোমতী জেলা হাসপাতাল সুপারের বিরুদ্ধে। হাসপাতাল সুপার ডাক্তার দেবশ্রী দেববর্মণ বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন এক রুগী। উদয়পুর আর কে পুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন খিলপাড়ার বাসিন্দা প্রদীপ কুমার সরকার। তিনি জানান, উদয়পুর মহাকুমা হাসপাতাল চৌমুহনি এলাকায় চিকিৎসক দেবশ্রী দেববর্মণ নিয়মিত হাসপাতালে রোগী দেখতে না এসে প্রাইভেট চেম্বার খুলে রোগী দেখেন।
মঙ্গলবার গোমতি জেলা হাসপাতালে চক্ষু বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরিষেবা প্রদান করা কথা ছিল। এবং এর দায়িত্বে ছিলেন চিকিৎসক দেবশ্রী দেববর্মণ। তিনি এদিন হাসপাতালে রোগী দেখতে না এসে চেম্বারে বসে রোগী দেখেন। বহুরোগী এদিন হাসপাতালে এসে পরিষেবা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যান। অবশেষে প্রদীপ কুমার সরকার নামে সেই সেই ব্যক্তি দেবশ্রী দেববর্মণ চেম্বারে যাওয়ার পর নাকি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। শেষ পর্যন্ত দেবশ্রী দেববর্মণ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুনে রীতিমত হতভম্ব হয়ে পড়েন প্রদীপ কুমার সরকার। তিনি প্রশ্ন তুলেন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে কিভাবে দায়িত্বহীন একজন চিকিৎসককে বসানো হয়েছে, এদিন চিকিৎসা পরিষেবা নিতে বহু রোগী হাসপাতালে এসে বাড়ি ফিরে যেতে হয়। উপরন্ত সেই চিকিৎসক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। তাই রাধা কিশোরপুর থানায় চিকিৎসক দেবশ্রী দেববর্মণের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে রোগীদের পক্ষ থেকে বইছে সমালোচনার ঝড়। একাংশ চিকিৎসক সরকারি চাকরি করার পাশাপাশি বাড়তি কামাই -এর জন্য প্রাইভেট চেম্বার খুলে বসেন। আর এটা রাজ্যে অতীত সংস্কৃতি। সেই সংস্কৃতির কারণে সরকারি হাসপাতাল গুলিতে সঠিক পরিষেবা পাচ্ছে না রাজ্যবাসী। বাম আমাল পাল্টে রাম আমলেও সেই সব চিকিৎসকেরা বহাল তবিয়তে রয়েছেন। অর্থই শেষ কথা সেটা স্পষ্ট করে দিচ্ছেন একাংশ চিকিৎসক।