স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ আগস্ট : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছিলেন সহসাই এম বি বি বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা শুরু করার। অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার আলোচনার পর রাজ্য মন্ত্রীসভা অনুমোদন দিয়েছে উড়ান আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা প্রকল্পে সপ্তাহে তিনবার আগরতলা থেকে বাংলাদেশের চিটাগং এবং চিটাগাং থেকে ফের আগরতলা বিমান পরিষেবা চালুর করার। আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালুর ক্ষেত্রে অপশন রাখা হয়েছিল ঢাকা আগরতলা অথবা আগরতলা চিটাগাং। অনেক বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় সরকার একটি রুট বাছাই করতে অনুমতি দেয়। এতে করে প্রতিবছর ১৫ কোটি টাকা বহন করবে রাজ্য সরকার।
এয়ারলায়েন্স কোম্পানির ঘাটতি পূরণ করতে এই অর্থ প্রদান করা হবে। এর জন্য জন প্রতি দিতে হবে ৪৫০০ টাকা। মন্ত্রী সভার বৈঠকের পর মঙ্গলবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। উপজাতি কল্যাণ দপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এডিসি ভিলেজগুলি এবং তার বাইরে থাকা গ্রাম গুলিতে লোয়ার কিন্ডার গার্ডেন থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা তাদের বিনামূল্যে কোচিং দেওয়ার। অনেক গরবী ছাত্র রয়েছে যারা টিউশনে যেতে পারে না। অর্থের সঙ্কট রয়েছে পরিবারের। এই ক্ষেত্রে দপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যে ৩০০ টি বিনামূল্যে কোচিং সেন্টার খুলবে। প্রতিটি গ্রামে ৩ টির বেশী কোচিং সেন্টার থাকবে না। এই কোচিং সেন্টার গুলিতে ন্যূনতম ১৫ জন পড়ুয়া থাকতে হবে। যারা প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়তে চায় তারা এই কোচিং সেন্টার গুলিতে পড়তে পারবে। এর জন্য শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। তাদের প্রতিদিন ২১৫ টাকা করে প্রদান করবে দপ্তর। মাসে ২৫ দিন ক্লাশ নেবে তারা। মন্ত্রীসভার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এতে করে গরিব ছাত্র ছাত্রীরাই কেবল উপকৃত হবে না।
৩০০ জনের কর্মসংস্থান হবে বলে জানান তিনি। গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের অধীন নতুন ৪ টি আর ডি সার্কেল, ৬ টি আর ডি – ডিভিশন এবং ১৯ টি আর ডি সাব ডিভিশন স্থাপনের মঞ্জুরী দিয়েছে মন্ত্রীসভা। বর্তমানে গ্রামোন্নয়ন দপ্তর গ্রামীন এলাকার উন্নয়নে কাজ করছে। এই কাজকে আরও ত্বরান্বিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আরও ৫ টি ডিভিশন করা হবে। প্রতিটি মহকুমায় আর ডি সাবডিভিশন থাকবে বলে জানান তিনি। ১ হাজার কোটি টাকার উপর কাজ চলছে এই দপ্তরের মাধ্যমে। এই নতুন ডিভিশন ও সার্কেল হলে কাজ ত্বরান্বিত হবে বলে জানান মন্ত্রী। সমাজ কল্যাণ দপ্তর পথ শিশুদের জন্য নতুন পিলিসি এনেছে। রাস্তাঘাটে থাকা অভিভাবকহীন শিশুদের বিকাশের জন্য এই পলিসি আনা হয়েছে। এই পলিসি-র অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা। সারা রাজ্য থেকে ৬ হাজার পথ শিশুকে বাছাই করা হবে। এরপর তাদের মধ্য থেকে তালিকা প্রস্তুত তাদের অনাথ আশ্রম গুলিতে রাখা হবে আগামী ভবিষ্যৎ -র কথা চিন্তা করে। এর জন্য প্রতিমাসে ৪০০০ টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী। আগে ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হত। এবার তা বৃদ্ধি করে চার হাজার টাকা জনপ্রতি করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এতে করে সামাজিক গত ভাবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন রাজ্যে আসবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া মোহনপুরে ট্রিপল আই টি-র জন্য ৫০ একর জায়গা প্রদান করা হয়েছে। আগে ৪২ একর জায়গা দেওয়া হয়েছিল। নতুন করে আরও ৮ একর জায়গা চায় তারা। সেই অনুযায়ী বাকী ৮ একর জায়গা তাদের প্রদান করা হয়েছে। তারা এই জায়গায় স্থায়ী ক্যাম্পাস তৈরি করবে বলে জানান তিনি। এতে উপকৃত হবে রাজ্যের ছাত্র ছাত্রীরা। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা চেয়েছিলেন ১০০ দিনের কাজের রূপরেখা তৈরি সফলতা কি তা প্রকাশ করার। ৪৬ দপ্তরের ২৫৪ টি পয়েন্টকে টার্গেট করা হয়। এই ২৫৪ টি পয়েন্টের মধ্যে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে ১৬৬ টি পয়েন্ট সম্পন্ন হবে। বাকীটা সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে শেষ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।