স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ নভেম্বর : রাজ্যে পুর ভোটকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী সন্ত্রাস অব্যাহত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সন্ত্রাস মোকাবেলায় কোন সদর্থক ভূমিকা নেই। প্রতিদিন সারা রাজ্যে বিরোধীদলের কর্মী-সমর্থকরা সন্ত্রাসের শিকার হয়ে পঙ্গুর, নয়তো রাজনৈতিক দল পাল্টাতে বাধ্য হচ্ছে। রাজ্যের মানুষ এক প্রকার রাজনৈতিক স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছে বলে চলে বলে অভিযোগ সিপিআইএমের। সোমবার দুপুরে মেলার মাঠ থেকে একটি দলীয় মিছিল সংঘটিত করে রাজ্য পুলিশের সদর কার্যালয় ঘেরাও করে সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা
। সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা এই দিন রাজ্য পুলিশের সদর কার্যালয় ঘেরাও করে সন্ত্রাস বন্ধ করতে পুলিশকে কঠোর হাতে ভূমিকা গ্রহণের দাবি জানায়। এবং রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশকের সাথে দেখা করে অভিযোগ তুলে ধরতে চাইলে, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশকের পক্ষ থেকে কোন সময় পায় নি। পুলিশের মহানির্দেশকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে রাত আটটার পর সিপিআইএম নেতৃত্বদের সাথে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক দেখা করবেন। পরবর্তী সময়ে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশকের কাছ থেকে সময় চেয়ে নিয়ে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা। সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী জানান, রাজ্যের ৩৭ লক্ষ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিক্ষোভে শামিল হয়েছে সিপিআইএম। কারণ গণতন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত। পুলিশের কোনো ভূমিকা নেই। রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক চোখে পট্টি, কানে তালা দিয়ে বসে আছেন। তাই উনাকে বলতে এসেছে সিপিআইএম কর্মীরা
এবং নেতৃত্বরা, যদি দায়িত্ব পালন করতে পারেন তাহলে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার জন্য। নয়তো দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার জন্য রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে। কিন্তু তিনি জেলা পুলিশ সুপারদের নিয়ে সদর কার্যালয়ে বৈঠকে আছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু ত্রিপুরার গণতন্ত্র যখন রক্তাক্ত, সংবিধান ছিন্নভিন্ন তখন এর থেকে আর বড় কোন ক্রাইম হতে পারে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। এদিকে সিপিআইএম নেতৃত্ব মানিক দে বলেন, রাজ্য জ্বলছে, মানুষ রক্তাক্ত হচ্ছে, তা নিয়ে রাজ্য পুলিশের কোনো মাথা ব্যথা নেই। আজকের আন্দোলন এখানেই শেষ করে দিলে হবে না। যতক্ষণ না পর্যন্ত শাসক দলের চরিত্র বদলাবে ততক্ষণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। এদিন কয়েক শতাধিক কর্মী সমর্থক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। নেতৃত্ব দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্টের আহবায়ক নারায়ণ কর, উপজাতি গণমুক্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাধাচরণ দেববর্মা, প্রাক্তন সাংসদ তথা সি আই টি ইউ সাধারণ সম্পাদক শংকর প্রসাদ দত্ত।