স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২১ সেপ্টেম্বর : প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য সফরের ২৪ ঘন্টা আগে রবিবার হেজামারা কমিউনিটি হলে বিজেপি নেতা কর্মীদের পিটিয়ে আধমরা করল তিপরা মথা আশ্রিত দুষ্কৃতিরা বলে অভিযোগ। সেখানে রবিবার সংসদ বিপ্লব কুমার দেবের একটি কর্মসূচি ছিল। বিজেপি -র কর্মসূচিতে হামলা চালায় দুষ্কৃতিরা। আহত হয় বিজেপি নেতা মঙ্গল দেববর্মা সহ পাঁচজন। বিজেপি নেতা মঙ্গল দেববর্মা জানিয়েছেন, এইদিন হেজামারা কমিউনিটি হলে বিজেপি দলের কর্মসূচি ছিল। সে অনুযায়ী সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
কর্মসূচিতে সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব প্রধান অতিথি ছিলেন। সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব সেখানে উপস্থিত হওয়ার পূর্বে তিপ্রা মথা আশ্রিত দুষ্কৃতিরা অতর্কিত হামলা চালায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপর। তিপ্রা মথা আশ্রিত দুষ্কৃতিদের আক্রমণে গুরুতর ভাবে আহত হন বিজেপি-র জনজাতি মোর্চার ত্রিপুরা প্রদেশের সহ-সভাপতি মঙ্গল দেবর্বমা সহ একাধিক বিজেপি কর্মী। মঙ্গল দেববর্মা জানান হেজামারা কমিউনিটি হলে এইদিন বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। অনুষ্ঠান শুরুর আধঘন্টা আগে এই ঘটনা কমিউনিটি হলের বাইরে। তিনি আরো বলেন, সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব সেখানে পৌঁছানোর আগেই তিপ্রা মথা আশ্রিত ২৫ থেকে ৩০ জন দুষ্কৃতি বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালায়। দুষ্কৃতিদের আক্রমণে তিনি আহত হন।
তিপ্রা মথা আশ্রিত দুষ্কৃতিদের হাত থেকে রক্ষা পায় নি সংবাদ মাধ্যমও। বিজেপি-র কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদের উপরও হামলা চালানো হয়েছে। এতে গুরুতর ভাবে আহত হয় সাংবাদিক কমলকান্তি ত্রিপুরা। গুরুতর আহত অবস্থায় কমলকান্তি ত্রিপুরাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত সাংবাদিক কমল কান্তি ত্রিপুরা জানায় সে হেজামারা কমিউনিটি হলে বিজেপির কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহ করতে যায়। আচমকা তিপ্রা মথা দলের কর্মীরা সেখানে হামলা চালায়। সে যে সাংবাদিক তা জানতো তিপ্রা মথা দলের কর্মী সমর্থকরা। তারপরও তাকে মারধর করা হয়েছে। ঘটনার পর আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় মোহনপুর হাসপাতালে। সেখান থেকে আহত মঙ্গল দেববর্মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জিবি হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়। অপরদিকে আহত সাংবাদিক কমল কান্তি ত্রিপুরাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। তবে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকের উপর আক্রমণের ঘটনায় সাংবাদিক মহলে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় বর্তমানে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। যদিও বর্তমানে এলাকায় যথেষ্ট সংখ্যক আরক্ষা কর্মী মোতায়েন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য সফরের পূর্বে বিজেপি-র নেতা কর্মীদের উপর শরিক দল তিপ্রা মথার কর্মী সমর্থকদের আক্রমণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জনমনে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। তাহলে কি দুই শরিকের মধ্যে দুরত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

