স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৫ সেপ্টেম্বর : হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন বাকি। তারপরেই সর্বজনীন দুর্গাপূজা। পূজার আনন্দে হৈই হুল্লোড়ে মাতবে রাজ্যবাসী। আকর্ষণীয় পুজোর আনন্দ হবে আগরতলা শহরের। কিন্তু আগরতলা শহরের রাস্তাঘাটে চরম অবনতি ঘটেছে গত কয়েক মাসে। অপরিকল্পিতভাবে শহরে রাস্তাঘাট এবং ড্রেন নির্মাণ ও সংস্কারের কাজে হাত লাগিয়েছে আগরতলা পুর নিগম, পূর্ত দপ্তর এবং স্মার্ট সিটি কর্তৃপক্ষ। দুর্গাপূজার আগে সেই কাজ সম্পন্ন করতে কালঘাম ছুটছে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের।
এর মধ্যে দুর্গা পূজার আগেই রাস্তা গুলোর কাজ কিভাবে সমাপ্ত করা যায় সেই বিষয়ে আগরতলা পুর নিগমের কনফারেন্স হলে পূর্ত দপ্তরের আধিকারিক, ট্রফিক আধিকারিক, বিদ্যুৎ নিগমের আধিকারিক সহ বিভিন্ন দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে বৈঠক করেন মেয়র দীপক মজুমদার। বৈঠকে মেয়রের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসক ডঃ বিশাল কুমার, আগরতলা স্মার্ট সিটির সিইও শৈলেশ কুমার যাদব। দীর্ঘক্ষণ এই বৈঠকে উঠে আসে নানা সমস্যার কথা। মেয়র দীপক মজুমদার আধিকারিকদের নির্দেশ দেন যত দ্রুত সম্ভব আগরতলা শহরের রাস্তাঘাট এবং ড্রেনের কাজ সম্পূর্ণ করতে। কারণ কোন একটা দুর্ঘটনা সংগঠিত হলে, এর জন্য রাজ্য সরকার কলঙ্কিত হবে। মেয়র বলেন বটতলা শিববাড়ি-দশমীঘাট রাস্তার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।
একই সাথে ফায়ার বিগেট চৌমুহন থেকে প্রগতি রোড পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। মানুষের চলাচলে অযোগ্য হয়ে আছে রাস্তা গুলো। তাই এই রাস্তা চলাচলের উপযোগী করার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব পালন করতে হবে পূর্ত দপ্তরকে। কারণ মানুষের মনে প্রশ্ন, আর কবে শহরের কাজ শেষ হবে! তারপর আগরতলা স্মার্ট সিটির সিইও জানান পঞ্চবটি – বড়জলা – দুর্গা চৌমুহনি পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা খারাপ। এত কম সময়ের মধ্যে বিটুমিন দিয়ে রাস্তা সংস্কার করা সম্ভব নয়। সিমেন্ট দিয়ে রাস্তা যতটা সম্ভব সংস্কার করা হবে। ড্রেনের পাশে মাটি তুলে লাল মাটি দিয়ে ভরাট করে রোলার দিয়ে চাপিয়ে দেওয়া হবে। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই রুটে কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। অপরদিকে ভিআইপি রোড লিচুবাগান থেকে রাধানগর পর্যন্ত যে কাজ বাকি রয়েছে সেটা ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। জিবি বাজার থেকে জগতপুর হয়ে অভয়নগর পর্যন্ত যে রাস্তার কাজ রয়েছে সেই কাজ আগামী ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। অপরদিকে লালবাহাদুর থেকে আশ্রম চৌমুহনী পর্যন্ত ড্রেন কাস্টিং এর কাজ আরো কুড়ি মিটার বাকি রয়েছে। এই কাজ আগামী লক্ষ্মী পূজার পরে সম্পূর্ণ করা হবে বলে জানান সি ই ও। বৈঠকের পর মেয়র সংবাদ মাধ্যমকে জানান, পূজার আগে কাজ শেষ করতে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। যতটা সম্ভব কাজ শেষ করা হবে পূজার আগেই। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর গোটা শহরের কাজ পরিদর্শন করে দেখা হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর গুলির আধিকারিক এবং কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাত দিন এক করে কাজ করার জন্য। এমনটাই জানিয়েছেন মেয়র।

