স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৪ সেপ্টেম্বর: দিন দিন নেশা এবং অসামাজিক কার্যকলাপে ডুবছে রাজধানীর ভিআইপি জোনের গোয়ালা বস্তি এলাকা। মহাকরণ, ত্রিপুরা হাইকোর্ট এবং আধুনিক মানের থানার নাকের ডগায় এই গোয়ালা বস্তি এলাকা। গোয়ালা বস্তির একটা বড় অংশ নেশা সহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছে বহু আগে। এনসিসি থানার পুলিশ লাগাতার অভিযান না চালানোর কারণে দিন দিন তাদের দৌরত্ম্য বেড়ে চলেছে।
রবিবার দুপুরে গোপন খবরের ভিত্তিতে এনসিসি থানার পুলিশ টি.এস.আর এবং সি.আর.পি.এফ নিয়ে গোয়ালা বস্তিতে হানা দেয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অলিগলি থেকে উদ্ধার করে নেশা সামগ্রী। নেশার সাম্রাজ্য গড়ে তুলে রেখেছে শহরের ভিআইপি জোন এলাকায়। বহু দোকানপাট এবং বাড়ি ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণে শুকনো গাঁজা এবং দেশি ও ইংলিশ মদ। মদের ঠেকে অসংলগ্ন অবস্থায় পাওয়া গেছে বেশ কয়েকজনকে। তাদের দাবি তারা অন্য এলাকা থেকে বন্ধুর বাড়িতে এসেছিলেন ঘুমানোর জন্য। পুলিশের চোখে সেটা বন্ধুর বাড়িতে ঘুরতে আসে নয়, মদের ফুয়ারায় ডুব দিতে আসা। পুলিশ প্রায় ৫০ লিটার মদ উদ্ধার করেছেন। একই সাথে বস্তা ভর্তি শুকনো গাঁজা উদ্ধার করেছে। তিনটি মোটর বাইক সিজ করেছে। বাইক গুলির নম্বর প্লেটে ব্যাপক গরমিল পাওয়া গেছে। ব্ল্যাক টিপ দিয়ে নম্বর ঢাকা ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে বাইক পুলিশ দিয়ে তারা বিভিন্ন জায়গায় নেশা সামগ্রী পাচার এবং অসামাজিক কার্যকলাপ করতে যায়। বছরে ৩৬৫ দিন ভি আই পি জোন চরম নিরাপত্তা চাদরে মুড়ে থাকার কথা থাকলেও কেন পুলিশ প্রশাসন এবং রাজ্যের অন্যতম আধুনিক প্রযুক্তি সম্পূর্ণ থানা এনসিসি -র পুলিশ বাবুরা এতটা খামখেয়ালিপনা করে ফেলেছে। এ ধরনের খামখেয়ালিপনা কিন্তু নিরাপত্তার ঘাড়ে শ্বাস ফেলে। সুতরাং, পুলিশের কড়া পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুলিশ যাদের আটক করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়। এখন দেখার বিষয় পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া কতটা এগিয়ে যায়।

