আগরতলা, ১৩ আগস্ট (হি. স.) : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার সব সময় মানুষের জন্য কাজ করছে। এর সুফল ভোগ করছেন সব অংশের মানুষ। আজ জিরানীয়া ব্লকে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উদযাপন উপলক্ষে মেগা রক্তদান শিবির ও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের মধ্যে সহায়ক সামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
তিনি বলেন, এবারের স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য অন্যরকম। কারণ গত দুই বছর করোনার কারণে স্বাধীনতা দিবস বৃহৎ আকারে পালন করা যায়নি। তাই এবারে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। রাজ্যে প্রতিটি বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের কর্মসূচি সফল করার জন্য প্রত্যেক নাগরিককে তিনি ধন্যবাদ জানান।তিনি বলেন, রাজ্যের মা-বোনেদের হাতে তৈরি জাতীয় পতাকা দিল্লিতে পৌঁছে গেছে। রাজ্য সরকার স্বসহায়ক দলের মাধ্যমে মা-বোনেদের আত্মনির্ভর করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই মুহুর্তে স্বসহায়ক দলের সংখ্যা রাজ্যে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তাদের আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে রক্তদান সম্বন্ধে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, এ থেকে মহান দান আর কিছু নেই। রক্তদান করে যেমন একজন দাতা অন্যের জীবন রক্ষা করেন তেমনি নিজের শরীরের শারীরিক সমস্যা আছে কিনা তাও জানতে পারেন। তিনি যেকোন সামাজিক অনুষ্ঠানে রক্তদান করার জন্য আহ্বান জানান।অনুষ্ঠানে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দফতর থেকে রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনার অন্তর্গত প্রকল্পে ২ জন সুবিধাভোগীকে পাওয়ারটিলার, ৬ জনকে মিনি রাইস মিল, ২ জনকে পাম্পসেট এবং ৯ জনকে ব্যাটারি স্পেয়ার দেওয়া হয়। মৎস্য দপ্তর থেকে ৭ জন মৎস্যচাষীকে মাছের খাদ্য দেওয়া হয়েছে। প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তর থেকে ৪৬ জনকে ১০টি করে মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনায় হাঁস দেওয়া হয়েছে।শ্রম দফতর থেকে নির্মাণ শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্পে কার্ড দেওয়া হয় ২ জনকে। তাছাড়া নির্মাণ শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্পে ৪ জনকে আর্থিক সহায়তা করা হয়। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ৭টি জলের ফিল্টার, প্রধানমন্ত্রী অনুসূচিত জাতি যোজনা প্রকল্পে তপশিলী জাতিভুক্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা করে ৯৪ জনকে অনুদান প্রদান করা হয়। সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দফতর থেকে শ্রবণ যন্ত্র, হাঁটার জন্য লাঠি এবং হাঁটার জন্য ট্রাইপেডও দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে অতিথিবর্গ সুবিধাভোগীদের হাতে সহায়ক সামগ্রীগুলি তুলে দেন।