স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১০ সেপ্টেম্বর : শহর আগরতলায় সংস্কৃতির পিঠ স্থানের নাকের ডগায় অপসংস্কৃতির আসর কতটা কাম্য, তা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্য জুড়ে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে। রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনেই রয়েছে রোজভ্যালির পুরাতন বিল্ডিং। এই বিল্ডিং-এর চার তলায় রয়েছে নগর উন্নয়ন ভবন। তার ঠিক উপরের তালায় সম্প্রতি খোলা হয় হ্যাপিয়েস্ট অ্যাওয়ার নামে বার কাম নাইট ক্লাব। উদ্বোধনের দিনই এই বার কাম নাইট ক্লাবে দেখা দেয় ঝামেলা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে যেতে হয় পুলিশকে।
উদ্বোধনের দিন বার কাম নাইট ক্লাবে আসা এক ব্যক্তি ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন ওনার কাছে পাস থাকা সত্ত্বেও বারে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় নি। তিনি এই বার কাম নাইট ক্লাবে কি হয় তা দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওনাকে বার কাম নাইট ক্লাবে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় নি। মেয়ে বন্ধুকে সাথে নিয়ে আসলে তবেই তিনি বার কাম নাইট ক্লাবে প্রবেশ করতে পারবেন। এই বার কাম নাইট ক্লাবকে নিয়ে ইতিমধ্যে স্থানীয় সাধারন মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিরুপ প্রতিক্রিয়া। রবীন্দ্র ভবনের সামনে এই বার কাম নাইট ক্লাবের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী, প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব, তৃনমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব সহ অল ইন্ডিয়া ডি এস ও, এ আই ডি ওয়াই ও এবং এ আই এম এস এস। এমনিতেই নেশার কবলে পরে রাজ্যের যুব সমাজ ধবংসের পথে। তার উপর আগরতলা শহরের বুকে এই বার কাম নাইট ক্লাব যুব সমাজকে অপসংস্কৃতির দিকে ধাবিত করবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
এই বার কাম নাইট ক্লাবের প্রতিবাদে সরব হয়েছে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরাও। সকলেরই বক্তব্য বার কাম নাইট ক্লাব খুলতে হয় অন্য কোথাও খোলা হোক। রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত রবীন্দ্র ভবনের সামনে কেন বার কাম নাইট ক্লাব। নির্ধারিত সময়ের পরও এই বার কাম নাইট ক্লাবে চলে মদের আসর থেকে শুরু করে আমোদ প্রমোদ। অবশেষে বিষয়টি নজরে আসে সরকারের। বুধবার আবগারি দপ্তর থেকে কারন দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয় বার কাম নাইট ক্লাবের মালিককে। পশ্চিম জেলার আবগারি দপ্তরের সুপারিনটেন্ডেন্ট অভিরাম দেববর্মা স্বাক্ষরিত এক নোটিসের মাধ্যমে বার কাম নাইট ক্লাবের মালিকের নিকট জানতে চাওয়া হয়েছে কেন ওনার বার কাম নাইট ক্লাবের লাইসেন্স বাতিল কিংবা স্থগিত করা হবে না। উত্তর জানানোর জন্য ৩ দিনের সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে বার কাম নাইট ক্লাবের মালিককে। এখন দেখার এই বার কাম নাইট ক্লাবকে রবীন্দ্র ভবনের সামনে থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে কিনা।

